ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে বুড়িভদ্রা নদীতে বাঁধ ॥ অধিকাংশ ফসলি জমি প্লাবিত

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ২৮ জুলাই ২০২০

কেশবপুরে বুড়িভদ্রা নদীতে বাঁধ ॥ অধিকাংশ ফসলি জমি প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদাতা, কেশবপুর, ২৭ জুলাই ॥ কেশবপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীতে বাঁধ দিয়ে খননের কাজ করাচ্ছে। সে কারণে অল্প বৃষ্টি হলেই কেশবপুর পৌরসভার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেকদিন থেকে এলাকার মানুষের দাবি ছিল বৃষ্টির আগে বাঁধ সরানোর। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন ১৫ জুলাই বাঁধ সরানো হবে। গত ২২ জুলাই পাউবো হরিহর নদীর বাঁধ সরালেও বুড়িভদ্রা নদের পাশেই প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বাঁধ থেকে গেছে। এক রাতে বৃষ্টির ফলে কেশবপুর পৌরসভার অধিকাংশ জমি প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে হরিহর নদী ও বুড়িভদ্রা নদীর দু’পাশের শত শত বিঘা জমির ধান ও পাট ক্ষেত পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। কেশবপুর পৌরসভার সাবদিয়া গ্রামের পাট চাষী হাফিজুর রহমান জানান, তার পাট প্রায় কাটার সময় হয়েছে। আর ১৫-২০ দিনে পরে পাট কাটবেন তিনি। পানির কারণে পাট গাছ আর বৃদ্ধি পাবে না বলে জানান তিনি। ফলে জমিতে পাট নষ্ট হবে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায় এ বছর উপজেলা ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। মৌসুমের শুরুতেই আগাম বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা উঁচু জমির পাশাপাশি নিচু জমিতে পাট চাষ করেন। কিন্তু বৃষ্টির পানির কারণে মৌসুমে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। নতুন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে পানিতে। অনেক ধান গাছ পানির মধ্যে। পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে। কেশবপুর পৌরসভার ভবানীপুর, নোনা মাঠ, হাবাসপোল ঈদগাহ মাঠ, হাবাসপোল প্রাইমারী স্কুলের মাঠ, বায়সা-কালাবাসা নতুন ব্রিজের কাছের মাঠ, সাবদিয়া বায়সা ওয়ার্ডের কাজী পাড়া, গাজী পাড়ার বিল ও গোলাঘাটা আলতাপোল বিল পানিতে ডুবে গেছে। কোথাও পাটের আবাদ, কোথাও ধানের, আবার কোথাও নতুন জমি তৈরি করা হচ্ছে আবাদের জন্য। প্রশাসনের কাছে এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের দাবি তাড়াতাড়ি বুড়িভদ্রা নদের বাঁধ সরিয়ে পানি অপসারণ করে ফসল ফলানোর ব্যবস্থা করত।
×