ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে কিশোর গ্যাং’র তৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২৭ জুলাই ২০২০

পটুয়াখালীতে কিশোর গ্যাং’র তৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীতে সক্রিয় কিশোর গ্যাং দমনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে তরুন প্রযন্ম। আজ সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং’র ধারাবহিক অপরাধমূলক কর্মকান্ডে শহরবাসীর অতিষ্ট। তাই এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়। এ ছাড়া স্মারকলিপিতে শহরের হুরুত্বপূর্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনেরও দাবী করা হয়। পটুয়াখালী শহরে হঠাৎ করেই কিশোর গ্যাং এর গ্রুপ গুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় দুই শিক্ষার্থীকে কোপানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শহরের গ্যাং কালচার এবং অস্ত্রের মহড়া বন্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারী প্রত্যাশা করছেন জেলাবাসী। গত ২২ জুলাই দুপুরে পটুয়াখালী শহরের পানামা ডায়গনস্টিক সেন্টারের মধ্যে এবং সামনে মারামারির ঘটনায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। মামলার বিবরন থেকে জানাযায়, গত ২২ জুলাই শহরের পিটিআই রোডস্থ এলাকায় রিজন ও হৃদয় নামে দুই যুবক প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছিলো। এ সময় পিটিআই রোডস্থ এলাকার নাসিব তাদের প্রকাশ্যে মাদক সেবনে নিষেধ করলে রিজন ও হৃদয় তার (নাসিব) উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনার জেরে ওই দিন দুপুরে নাসিব, লাউকাঠী খেয়াঘাট এলাকার মুন্না এবং চরপাড়া এলাকার নিবির দাস গুপ্তা একসাথে শহরের পানামা ডায়গনস্টিক সেন্টারে যায়। এ সময় থানাপাড়া এলাকার সবুরের নেতৃত্বে শিশুপার্ক এলাকার সিফাত, সিমুলবাগের আরমান, সবুজবাগের রিজন, নতুন বাজার এলাকার হৃদয়, পিটিআই রোডের পুলক, আদালতপাড়ার রতন, সাদাত, জুয়েল, সাজিনসহ ৫ থেকে ৬ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসহ সেখানে অবস্থান নেয়। মাদক সেবনের বাঁধা দেয়ার ঘটনার জেরে নাসিবের উপর তারা হামলা চালালে নাসিব দৌড়ে পানামা ডায়গনস্টিক সেন্টারের দোতলায় চলে যায়। এ সময় নাসিবের বন্ধু মুন্না এবং নিবির দাস গুপ্তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়। স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে মুন্না এবং নিবির দাস গুপ্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত মুন্নার মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে মামলার অধিকাংশ আসামীদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় মাদক,ধর্ষন,ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে বলেও জানান বাদী সাহিদা বেগম। পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তার মোর্শেদ জানান, মামলা গ্রহনের পর পুলিশ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
×