ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নক্ষত্রের মহাপ্রয়াণ ॥ জেআরসি কমিটি

প্রকাশিত: ২১:০২, ২৭ জুলাই ২০২০

নক্ষত্রের মহাপ্রয়াণ ॥ জেআরসি কমিটি

প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর সঙ্গে ৯৭ সালে গঠন করা ইপিবির ‘কেমন করে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানি করা যায়’ শীর্ষক একটি কমিটি সমার্থক হয়ে উঠেছে। আজ যখন তিনি নেই তখন সেই কমিটি ও প্রয়াত প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর কথা আমাদের বার বার মনে পড়ে। ২৮ এপ্রিল ২০২০ ভোরে জাতীয় অধ্যাপক, প্রখ্যাত প্রকৌশলী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। সেই মানুষটিকে দেশ ও জাতি নানা কারণে স্মরণ করবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতা সম্পর্কে ইতিবাচক সুপারিশ প্রদান থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদকও অর্জন করেছেন। তবে কোন পদক বা উপাধিতে এই মানুষটিকে সম্মানিত করা বা শ্রদ্ধা জানানো সীমিত রাখা যাবে না। আমরা তার বিশাল কর্মময় জীবনের ছোট একটি অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করব যার নাম জেআরসি কমিটি। যদিও জামিলুর রেজা চৌধুরীর জীবনের জন্য এই অধ্যায়টি হয়ত অনেকটা ছোট কিন্তু বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা ও একটি ডিজিটাল সাম্য সমাজ গড়ে তোলায় সেই অধ্যায়টির ভূমিকা অসাধারণ। আমাদের দেশের এই খাতের মানুষ জেআরসি স্যারের জীবদ্দশায় বা এমনকি তার মৃত্যুর পরেও তেমনভাবে তার নেতৃত্বাধীন জেআরসি কমিটির বিষয়বস্তু নিয়ে তেমন কোন আলোচনা করছে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই আমরা একটি ডিজিটাল যুগের সন্ধান খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে পেরেছিলাম। আমার নিজের জন্য এটি গর্ব করার মতো যে, সেই অধ্যায়টির কেবল প্রত্যক্ষ সাক্ষী নই আমি একজন অংশীদারও। ’৮৭ সাল থেকে ২০২০ সাল অবধি ৩৩ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি-ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে যত কাজ করেছি তার মাঝে অন্যতম সেরাটি জেআরসি কমিটিতে কাজ করা। এর আগেও তথ্যপ্রযুক্তি-ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে অনেক সম্পর্কযুক্ত কাজ আছে যার সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। স্মরণ করতে পারি দু’বার নাসকমের নির্বাহী পরিচালক দেওয়াং মেহতার বাংলাদেশে আগমনের কথা, গাজীপুরে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল গড়ে তোলা, কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের আন্দোলন করা, জেআরসি কমিটির রিপোর্টের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা ইত্যাদি তো আছেই বস্তুত প্রায় তিন যুগের জীবনটাই এই খাতে নিবেদিত। জেআরসি কমিটি : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি বিষয়ক একটি টাস্কফোর্স তার ১৮তম সভায় বাংলাদেশ থেকে কেমন করে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানি করা যায় সেই সম্পর্কে সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে¡ তাকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠনের তথ্য কমিটিকে জানানো হয় ১৪ জুন ১৯৯৭। তবে কমিটি গঠন করা হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২৮ মে পত্রসূত্র বিআর/আর-২/পণ্য-২(১১)/৯৭(এল-১-৯) বরাত দিয়ে। কমিটিকে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য দুই মাসের সময় দিলেও পরে আরও ছয় সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়। প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারী সংস্থা ও সেক্টরের প্রতিনিধিসহ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের প্রতিভাবান প্রযুক্তি ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে ১৪ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয় যা জেআরসি কমিটি নামে সমধিক পরিচিত। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিষয়ে ধারণা, এই খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও করণীয় সম্পর্কে এই কমিটির সুপারিশমালায় বিস্তারিত পরিসরে প্রতিফলিত হয়। যদিও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে এর আগে ও পরে অনেক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে এবং কোন কোনটা বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিদেশী পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করেছে, তথাপি জেআরসি কমিটির মতো এমন বাস্তব-প্রয়োগ সফল কোন প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। কমিটি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে ৯১ সালে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো সফটওয়্যার বিষয়ক দুটি প্রকল্প গ্রহণ করে। ক) পণ্য উন্নয়ন খ) বাজার চিহ্নিতকরণ। এই প্রকল্পের আওতায় ৯৩ সালে কানাডার সফটওয়ার্ল্ডে ও ৯৫ সালে জার্মানির হ্যানোভারে বেসরকারী খাতের কিছু লোককে পাঠানো হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব মেলা থেকে বাংলাদেশ কিছুই অর্জন করতে পারেনি। ইউনিডোর ডিজি/বিজিডি/৯২/০০৪/১১-৫২ প্রকল্পের আওতায় মি. জন মরিসন নামক একজন পরামর্শককে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই পরামর্শকের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে ১৯৯৫ সালে। তবে সেই কর্মশালার প্রেক্ষিতে তৎকালীন সরকার আর কোন কর্মকাণ্ড করেনি। জেআরসি কমিটি সেই সময়কার তিনটি সফটওয়্যার কোম্পানির উল্লেখ করেছে। কোম্পানি তিনটি হলো আইবিসিএস প্রাইমেক্স, নর্থ আমেরিকান কম্পিউটিং ডাইনামিকস এবং বাংলাদেশ ইনফরমেশন টেকনোলজি গ্রুপ লিমিটেড। শেষ কোম্পানিটি ছিল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দেশের ২৩টি কম্পিউটার কোম্পানির একটি যৌথ উদ্যোগ। প্রথম প্রতিষ্ঠানটি এখনও সক্রিয় থাকলেও দ্বিতীয় কোম্পানিটি ৯৭ সালেই তেমন সক্রিয় ছিল না। তৃতীয় প্রতিষ্ঠানটি কার্যত কোন কর্মকাণ্ড শুরুই করতে পারেনি। কমিটির রিপোর্টে কয়েকটি রফতানিমুখী কোম্পানির উল্লেখ করেছে। এগুলো হলো কম্পিউটার সলিউসন্স লিমিটেড, অনির্বাণ, আইবিসিএস প্রাইমেক্স, ব্র্যাক, এনএসিডি ও মেশিন ডায়ালগ। ওরা কোন না কোন রফতানি কাজ করেছে বলে দাবি করলেও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো কমিটির সামনে রফতানির কোন প্রামাণ্য দলিল পেশ করতে পারেনি। আমার জানা মতে, মেশিন ডায়ালগ নামক কোম্পানিটি সুইডেনের ভলবো কোম্পানির জন্য সফটওয়্যার বানিয়ে রফতানি করেছিল। তবে আমরা যখন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করি তখন মেশিন ডায়ালগের কোন অস্তিত্ব পাইনি। ২০১৩ সালে প্রকাশিত এসএমই ফাইন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে মেশিন ডায়ালগ কোম্পানিটি সম্পর্কে বলা হয় যে As early as 1986, a UK-trained non-resident Bangladeshi computer scientist set up a firm, Machine Dialogue, to develop business applications for export market. Machine Dialogue succeeded in exporting ERP software application to a globally reputed multinational, Volvo Motor Compa. Sudden departure of core development team for US led to the folding of the compa. বলার অপেক্ষা রাখেনা যে এর আগেও সরকার বেশ কিছু অর্থ ব্যয় করে আরও কিছু প্রতিবেদন তৈরি করিয়েছিল যার কোনটিরই কোন হদিস তখনও পাওয়া যায়নি এখনও পাওয়া যায়না। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সেইসব প্রতিবেদন কোন ভূমিকা রেখেছে বলেও মনে করা যায় না। জেআরসি কমিটির সদস্যগণ : জেআরসি কমিটির কাজের বিস্ময়কর সফলতার ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের হাতের নাগালে আসে কম্পিউটারসহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি। রচিত হয় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিপ্লব এগিয়ে নেয়ার সোপান। প্রযুক্তিতে বাঙালীর শত শত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে তথ্যপ্রযুক্তিকে এ দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অপরিহার্য উপাদানে পরিণত করার যুদ্ধ জয়ের মহানায়ক ছিলেন এই কমিটির প্রত্যেক সদস্য। জেআরসি কমিটির সদ্যগণের মধ্যে ছিলেন তদানীন্তন ডাক ও টেলিগ্রাফ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) এর মহাব্যবস্থাপক, পরিকল্পনা শাহ মোহাম্মদ একে এম নুরুল আমিন খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ নাজমুল আলম, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর এমএ সোবহান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট এএসএম কাশেম, বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বেক্সিমকোর পরিচালক (মানব সম্পদ) এসএম কামাল, লিডস কর্পোরেশন লিমিটেডের এমডি শেখ আবদুল আজিজ, অনিবার্ণের জনাব জামিল আজহার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. আবদুল মতিন পাটোয়ারি, কম্পিউটার সলিউশন লিমিটেডের জনাব মঈন খান, কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের জনাব মমলুক সাবির আহমেদ। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক বিএমএম মজহারুল হক। ১৪ জনের কমিটিতে ৬ জনই সরাসরি কম্পিউটার শিল্প থেকে যুক্ত থাকায় প্রকৃত অবস্থার মূল্যায়ন নিংসন্দেহে যথাযথ হতে পেরেছিল। কর্মপন্থা নির্ধারণে কমিটি বৈঠকের পর বৈঠক হয়। কমিটির সদস্যগণ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তাদের লব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার সফল দেশগুলোর খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন। তারা প্রযুক্তির ইতিবৃত্ত নিয়ে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত এবং নানা পরিসংখ্যান বৈঠকে বিশ্লেষণ করেন। কমিটির বৈজ্ঞানিক নানা পর্যবেক্ষণের পর কর্মপন্থা নির্ধারণে উঠে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। পর্যবেক্ষণে জেআরসি কমিটি দেখতে পায় পৃথিবীর প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের পথ ধরেই পশ্চিমা দুনিয়া বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া ইন্টারনেট বিপ্লব বা তৃতীয় শিল্প বিপ্লব আরম্ভ হওয়ার গত প্রায় তিন দশক সময়ের মধ্যে একক আধিপত্য নিয়ে বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রযুক্তির বৈশ্বিক বাজারের প্রায় অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্যে এশিয়ার দেশ ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ফিলিপাইন কিছুটা পথ হাঁটতে শুরু করেছে মাত্র। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে সরকারী কোন উদ্যোগই গৃহীত হয়নি। উল্লেখ্য, এই অঞ্চলের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে ১৯৬৪ সালে দেশে প্রথম কম্পিউটারের যাত্রা শুরু না হলে ১৯৮৭ সালে আমার পক্ষে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার সূচনা সম্ভব হতো না। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় কম্পিউটার সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে থাকায় ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কম্পিউটার ছিল দুর্লভ ও বিলাসবহুল একটি যন্ত্র। কম্পিউটারের ওপর ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল প্রযুক্তিবান্ধব নীতি সাধারণের হাতে কম্পিউটার পৌঁছতে শুরু করে-সূচিত হয় ডিজিটাল প্রযুক্তির অভাবনীয় বিপ্লব। তারও আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের বীজ বপন করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইটিও এবং ইউপিইউএর সদস্য পদ অর্জন করে। জ্ঞানভিত্তিক একটি সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার বিপ্লবের অংশ হিসেবে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি তিনি ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রার ভিত্তিপ্রস্তরটি স্থাপন করেছিলেন। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর দেশী-বিদেশী চক্রান্তে থমকে যায় বাংলাদেশ। ঢাকা, ২৫ জুলাই ২০২০ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক [email protected], www.bijoyekushe.net.bd, www.bijoydigital.com
×