ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যানাকে নিয়ে স্বপ্নও দেখেছিলাম- আর্য মেঘদূত

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ২৭ জুলাই ২০২০

এ্যানাকে নিয়ে স্বপ্নও দেখেছিলাম- আর্য মেঘদূত

এ প্রজন্মের প্রতিভাময়ী মঞ্চাভিনেত্রী আর্য মেঘদূত। তার বেড়ে ওঠা শিল্পী পরিবারেই। মা অভিনয়শিল্পী সোনিয়া হাসান থিয়েটারের এক আলোচিত নাম। বাবা কবি আসাদুল ইসলাম একাধারে নাট্যকার ও নির্দেশক। নাট্য জগতের এমনই এক পরিবেশে পথচলা এই অভিনেত্রী এর আগে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে দর্শকহৃদয় জয় করেছেন। ম্যাড থেটার প্রযোজিত ‘এ্যানা ফ্রাঙ্ক’ নাটকে এই প্রথমবারের মতো একক অভিনয় করছেন। এ সম্পর্কে কথা হয় তার সঙ্গে। এ্যানা ফ্রাঙ্ক নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাবনার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলুন মেঘদূত : ‘এ্যানা ফ্রাঙ্ক’ নাটকটি রূপান্তর করেছেন আমার বাবা আসাদুল ইসলাম। আমাদের বাসার বইয়ের র্যা কে এ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি থাকা সত্ত্বেও আমার কখনও পড়ে ওঠা হয়নি। তবে বাবা রাত জেগে এ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরিটা পড়ত। রোজার সময় যখন আমি নানাবাড়ি রাজশাহীতে ঈদ কাটাতে গিয়েছিলাম, বাবা এক সপ্তাহ পর রাজশাহী এসেছিল আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে তখন সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল এ্যানা ফ্রাঙ্ক স্ক্রিপ্টটা। নাটকটিতে অভিনয়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি কেমন? মেঘদূত : স্ক্রিপ্টটা প্রথম পড়েছিলাম গভীর রাতে। পড়ার পর এ্যানার জন্য বুকের ভেতর হাহাকার করতে লাগল। সেদিন রাতে এ্যানাকে নিয়ে বোধ হয় স্বপ্নও দেখেছিলাম। কী হাস্যোজ্জ্বল একটা মুখ! প্রস্তাবনা পেয়ে আমার অনুভূতি ছিল, বিশ পাতার স্ক্রিপ্ট কিভাবে মুখস্থ করব! এ্যানা ফ্রাঙ্ক স্ক্রিপ্টটা একক নাটক হিসেবে লেখা হয়েছে। এ্যানা ফ্রাঙ্ক একই সঙ্গে একটি চরিত্র এবং নাটক। তার মানে পুরো নাটকটা আমাকে একাই অভিনয় করতে হবে, কাজটা যে সহজ হবে না বুঝতে পারছিলাম। এ্যানা ফ্রাঙ্ক হয়ে আপনি নাট্যানুরাগীদের কী দিতে চান? মেঘদূত : চার দেয়ালের ভেতর দিন নেই, রাত নেই, শুধু সময় পার করে দেয়া। বাইরে বেরুনোর কথা ভাবলেই মনে দোলা দেয় মৃত্যু আতঙ্ক। এসব কথা এক বছর আগে শুনলে শুধু ফ্রাঙ্ক পরিবারের কষ্টের কথায় আসত মাথায় কিন্তু নিয়তির কী অদ্ভুত পরিহাস! আজ এ কথাগুলো আমাদের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। তবে যুদ্ধ কেড়ে নেয় সব গল্পগুলো, সব আনন্দ, সব ভালবাসা। যুদ্ধ এমনই ভয়ঙ্কর। তবে স্বপ্ন দেখতে তো মানা নেই, আর এ্যানা ঠিক সেটাই করেছিল। সে তার স্বপ্নের আর আবেগের কথায় ভরিয়ে তুলেছিল তার ডায়রির পাতা। যুদ্ধ এ্যানাকে কেড়ে নিয়েছে, তবে তার স্বপ্নগুলোকে তো কেড়ে নিতে পারেনি। এ্যানার স্বপ্ন আমাদের মাঝে যুগ যুগ ধরে থাকবে। অভিনয়ে মায়ের সান্নিধ্য কতটুকু? মেঘদূত : আমি তো আমার মায়ের সবচেয়ে বড় ফ্যান। রূপবতী, মহাজনের নাও বা প্রণয় যমুনার শো চলাকালীন পাশের উইংসে বসে শুধু হ্যাঁ হয়ে মায়ের অভিনয় দেখি। সে কিভাবে চরিত্রগুলোকে অবলীলায় মঞ্চে ফুটিয়ে তোলে তা নিয়ে যখন আমার সঙ্গে কথা বলে তখন শুধু মনে হতে থাকে আমি কী ভাগ্যবান এমন এক অভিনেত্রীকে এত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছি। -গৌতম পাণ্ডে
×