ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়াসিফ রিয়াদ

ছেলেবেলার ঈদ

প্রকাশিত: ০০:২৭, ২৬ জুলাই ২০২০

ছেলেবেলার ঈদ

ক্যাম্পাস লাইফ গ্রামেই কেটেছে ছোটবেলা। গ্রামের মুক্ত পরিবেশ বিশুদ্ধ হাওয়ায় শ্বাস নিয়ে বড় হয়েছি। বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা, আড্ডাবাজি হৈ-চৈ করে কাটানো দিনগুলো ভোলার মতো নয়। প্রতিবছর আনন্দঘন মুহূর্তে নতুন মাত্রা যোগ করতো ঈদ। ঈদ শব্দটি শোনা মাত্রই চোখে ভেসে ওঠে চাঁনরাতের দৃশ্য, ঈদের নতুন নতুন জামাকাপড় এবং মিষ্টি সেমাই এর ঘ্রাণ। আর সেই ঈদ যদি গ্রামে কাটানো ঈদ হয় তাহলে কোন কথাই নেই। ছেলেবেলার ঈদ নিয়ে রয়েছে অনেক স্মৃতি। ছোটবেলায় ঈদের আগের দিন চাঁনরাতে চাঁদ দেখতে আমরা বিকাল থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। ঠিক সন্ধ্যায় চাঁদ দেখতে পেলে একসঙ্গে চিৎকার, হৈ-চৈ, ফটকাবাজি করতাম। সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার পর গ্রামের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে ফিরি। পরে রাত ২টার দিকে ছেলেরা হাতে মশাল নিয়ে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াই এবং চিৎকার চেচামেচিতে গ্রামকে জাগিয়ে তুলি। ঈদের দিন সকালবেলা গোসল শেষে নতুন জামা পরিধান করে সেমাই খাই। পরিবার এবং প্রতিবেশী বন্ধুরা মিলে একসাথে ঈদের মাঠে যাই। খোলা বিশাল মাঠে গাছের নিচে ইদের নামাজ আদায় করার মধ্যে অন্যরকম অনূভুতি কাজ করে। নামাজ শেষে পরস্পর কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। একসঙ্গে মরহুম আত্মীয়-স্বজনদের কবর জিয়ারত করি। তারপর শুরু হয় ঈদ সেলামি নেবার পালা। ঈদের দিন দুপুরটা পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করলেও বিকালটা বরাদ্দ থাকে বন্ধুদের জন্য। সকল বন্ধুরা মিলে পছন্দের কোন এক জায়গায় ঘুরতে যাই। হাসি, আনন্দ এবং সন্ধ্যায় ফটকাবাজির মধ্যদিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি। ঈদে কমপক্ষে সাত দিন গ্রামের মানুষের মাঝে বিশাল পরিবর্তন দেখা যায়। মনে হয়, কিছুদিনের জন্য ঋতু পরিবর্তন হয়েছে।
×