ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে মারাত্মক শ্বাসকষ্টের রোগী কমেছে ॥ করোনায় নতুন আক্রান্ত ১২৬

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২৬ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রামে মারাত্মক শ্বাসকষ্টের রোগী কমেছে ॥ করোনায় নতুন আক্রান্ত ১২৬

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কিছুদিন আগেও ছিল মারাত্মক সঙ্কট। ফলে করোনা আক্রান্ত অনেক রোগীর মাঝে চলেছে হাহাকার। মৃত্যুও হয়েছে কারও কারও। সেই হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা চট্টগ্রামে এখন অনেকটা অব্যবহৃত থাকছে। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর চট্টগ্রামে মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ছিল। অথচ, প্রয়োজন অনুযায়ী তা দেয়া যায়নি। এতে করে অনেকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে অনেক শিল্প গ্রুপের মালিক আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা প্রদান করেন। ফলে সঙ্কট ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। বর্তমানে এমন অবস্থা হয়েছে যে, বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে অর্ধেকেরও কম এই হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অব্যবহৃত থাকছে। মুমূর্ষু রোগী কমে যাওয়ার কারণে এ মেশিন খুব বেশি ব্যবহার হচ্ছে না বলে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের সূত্রে জানানো হয়েছে। ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার মেশিন দিয়ে প্রতিজন রোগীকে সর্বোচ্চ ৫০ লিটার অক্সিজেন দেয়া যায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ১৭টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবহত হচ্ছে ৬টি। বিআইটিআইডিতে দুটি থাকলেও একটি ব্যবহৃত হয়নি। একই অবস্থা ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। এখানে চারটি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকলেও একটিও ব্যবহৃত হয়নি। বেসরকারী মা ও শিশু হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রয়েছে এ মেশিন। প্রায় ৪০টি থাকলেও ব্যবহৃত হচ্ছে ১০টি। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ অসীম কুমার নাথ জানিয়েছেন, তাদের কাছে থাকা সবকটি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ব্যবহার করার রোগী মিলছে না। বর্তমানে কেউ এ জাতীয় মেশিন দিতে চাইলে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান। নতুন আক্রান্ত ১২৬। এদিকে ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ১২৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬২৯ জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারাও যাননি। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন ল্যাবে ৭৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয়েছে ১২৬। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের পরিমাণ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া মারাত্মক শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগীর সংখ্যাও কমেছে। মূলত এ কারণেই হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা যথেষ্ট পরিমাণে অব্যবহৃত থাকছে।
×