ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় বেড়েছে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২৬ জুলাই ২০২০

মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় বেড়েছে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগের চেয়ে বর্তমানে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। শনিবার এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও সানেম’র যৌথ আয়োজনে যুব জনগোষ্ঠীর চাহিদা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে জনমিতি লভ্যাংশের সুবিধা গ্রহণের লক্ষ্যে ‘ইউথ বাজেট ফ্রেমওয়ার্ক’ ওয়েব সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। সেমিনারে দেশের যুব শক্তিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে বর্তমানে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় বেড়েছে। যুব ও তরুণ সমাজের উন্নয়নে সরকার ও তার মন্ত্রণালয় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ‘ইউথ বাজেট ফ্রেমওয়ার্ক’-এর মতো এ ধরনের বাজেট কাঠামোর প্রস্তাব পেশ করার জন্য সানেম ও এ্যাকশন এইডকে ধন্যবাদ। আমরা একযোগে কাজ করতে চাই। আশা করছি, আমাদের সামগ্রিক কাজে এই ফ্রেমওয়ার্কের একটি প্রতিফলন অবশ্যই আমরা দেখতে পাব। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব এবং পরামর্শ নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ইউথ বাজেট ফ্রেমওয়ার্কে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় সমন্বয় বডি বা তদারকি সেলের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তবে এটি যেন কোন আমলাতান্ত্রিক বডি না হয় সে সতর্কতার কথাও জানান তিনি। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ইয়ং বাংলা ন্যাশনাল ইউথ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক সঠিক তথ্য-উপাত্তের ঘাটতিকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় বডি বা তদারকি সেল থাকা খুবই জরুরী, যাতে যুবদের জন্য বাস্তবায়িত ২২টি মন্ত্রণালয়ের কাজকে সঠিকভাবে সমন্বয় করা সম্ভব হয়। সেমিনারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্যের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের দেশে। তথ্য-ঘাটতির কারণে অনেক যুবা-তরুণ অদৃশ্যমান থাকেন। প্রান্তিক সেই সব যুবাদের তথ্য-প্রোফাইলে যুক্ত করতে হবে। যথাযথ ও কার্যকর প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে অর্থনৈতিক কর্মকািন্ডে যুক্ত করতে হবে। বাজেট বরাদ্দ যেমন দিতে হবে, তেমনই বরাদ্দকৃত বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সবাইকে প্রযুক্তির আওতায় না আনা গেলে প্রযুক্তি-বিভাজন তৈরি হবে, যা বৈষম্য বাড়িয়ে তুলবে। এদিকে, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) প্রকাশিত ‘টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০২০’ নিয়ে এক ওয়েবিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জাতিসংঘে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে জেলা পর্যায় বাজেট থাকা প্রয়োজন। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ ও পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের নানা সমালোচনা আমার গায়েও লাগে। যদিও কোভিড আমাদের পেছনে নিয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও আমরা এসডিজি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাব। এসডিজি বাস্তবায়ন আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সরকারী- বেসরকারী, সুশীল সমাজ এবং দেশের সব শ্রেণীকে সঙ্গে নিয়েই এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব।
×