ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হিথ্রোয় তিন বাংলাদেশীকে বোর্ডিং পাস না দেয়া

কাতার এয়ারের কাছে হাইকমিশন ব্যাখ্যা চেয়েছে

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৬ জুলাই ২০২০

কাতার এয়ারের কাছে হাইকমিশন ব্যাখ্যা চেয়েছে

আজাদ সুলায়মান ॥ কোন ধরনের কারণ ছাড়াই হিথরো বিমানবন্দরে তিন বাংলাদেশী ব্রিটিশকে বোর্র্ডিং কার্ড না দেয়ায় তোপের মুখে পড়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। ব্রিটেনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এরই মধ্যে কাতার এয়ারওয়েজের কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে। এখন পর্যন্ত কাতার এয়ার থেকে ওই ঘটনার কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে এখনও কোন সুরাহা হয়নি। জানা গেছে, ওই তিন যাত্রীকে বোর্ডিং পাস না দেয়ার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন। বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারওয়েজ হঠাৎ করে কী কারণে ব্রিটিশ-বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে বোর্ডিং পাস দেয়নি, বাংলাদেশ হাইকমিশন সে বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের স্থানীয় অফিসের কাছে জানতে চেয়েছে। ইতোমধ্যে অন্যান্য এয়ারলাইন্স কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সনদের জন্য নতুন কোন নীতিমালা গ্রহণ করেছে কিনা, সে বিষয়ে হাইকমিশন তথ্য সংগ্রহ করছে। যথাসময়ে হাইকমিশনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের মাধ্যমে সেসব তথ্য সবাইকে জানানো হবে। জানা গেছে, লন্ডন থেকে বাংলাদেশগামী যাত্রীদের উদ্দেশে বলা হয়, যারা কাতারসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশ যেতে ইচ্ছুক, তারা যেন টিকেট কেনার সময় নিজ দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স থেকে যাবতীয় শর্তাবলী যথাযথভাবে জেনে নেন। যাতে ভ্রমণের সময় তাদের কোন অসুবিধায় পড়তে না হয়। বাংলাদেশগামী যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘোষণাপত্র (হেলথ ডিক্লেয়ারেশন কার্ড) সত্যায়নের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাই কমিশন গত মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশী ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশী দ্বৈত নাগরিক যাত্রীদের দেয়া স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র সত্যায়ন করে দিচ্ছে। এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্র নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে গত মার্চ ও জুন-জুলাই মাসে বাংলাদেশ গেছেন। বোর্ডিং পাস না দেয়ার বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। এর সঙ্গে হাইকমিশনের সত্যায়িত স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘোষণাপত্রের গ্রহণযোগ্যতার বা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিমান যোগাযোগ অব্যাহত থাকার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। সংবাদ মাধ্যমে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বলা হয়, কিছু সংবাদ মাধ্যম হাইকমিশন হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে বলে যে খবর প্রচার করেছে, তা সঠিক নয়। হাইকমিশন থেকে কোন যাত্রীকে এ ধরনের হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়নি। শুধুমাত্র বাংলাদেশগামী যাত্রীদের নিজস্ব স্বাস্থ্যবিষয়ক ঘোষণাপত্র সত্যায়ন করে দেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্র নিয়ে যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে আগের মতো ভ্রমণ করছেন। উল্লেখ্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ৩ জন বাংলাদেশী যাত্রীকে ফিরিয়ে দিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় সকাল পৌনে আটটার একটি ফ্লাইট থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই তিন যাত্রীর কাছে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে হেলথ ডিক্লেয়ারেশন কার্ড ছিল। বাংলাদেশীদের কেন ফিরিয়ে দেয়া হলো তার সুনির্দিষ্ট কারণ জানায়নি কাতার এয়ারওয়েজ। তবে আরেকটি সূত্র জানায়, কাতার এয়ারওয়েজ এখন থেকে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ডিক্লেয়ারেশনের কার্ড গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে কারণে যাত্রীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আরও জানা যায়, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন গত মার্চ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশী ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশী দ্বৈত নাগরিক (এনভিআরসহ) যাত্রীদের দেয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র সত্যায়ন করে দিচ্ছে। এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্রটি নিয়ে বাংলাদেশী যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমান, কাতার এয়ারওয়েজ ও এ্যামিরেটস এয়ারওয়েজসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে মার্চ ও জুন-জুলাইয়ে বাংলাদেশে গিয়েছেন এবং এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্রটি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছেও গৃহীত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন বিমান যাত্রীদের পরামর্শ দিচ্ছে যে, যারা কাতারসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছুক- তারা যেন টিকেট ক্রয়ের সময় নিজ দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স থেকে যাবতীয় শর্তাবলী যথাযথভাবে জেনে নেন যাতে ভ্রমণের সময় তাদের কোন অসুবিধায় পড়তে না হয়। জানা গেছে, কিছু সংবাদ মাধ্যম লন্ডন হাইকমিশন ‘হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে বলে যে খবর প্রচার করেছে তা সঠিক নয়। হাইকমিশন থেকে কোন যাত্রীকে এ ধরনের হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়নি। শুধু বাংলাদেশগামী যাত্রীদের নিজস্ব স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘোষণাপত্র সত্যায়ন করে দেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্র নিয়ে যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে আগের মতোই ভ্রমণ করছেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন আরও জানাতে চেয়েছে, ব্রিটিশ-বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে কাতার এয়ারওয়েজর বোর্ডিং পাস না দেয়ার বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র। এর সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন কর্তৃক সত্যায়িত বাংলাদেশী ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশী দ্বৈত নাগরিক যাত্রীদের দেয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘোষণাপত্রের গ্রহণযোগ্যতার অথবা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিমান যোগাযোগ অব্যাহত থাকার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে হাইকমিশন।
×