ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে করোনায় সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৭৬ জন

প্রকাশিত: ২২:০৮, ২৫ জুলাই ২০২০

দেশে করোনায় সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৭৬ জন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২৫৪৮ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮৩৬ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৭৬৮ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৯৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ২৭টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লাখ ৯১ হাজার ৩৪টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩০ শতাংশ । শুক্রবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মধ্যে ২৮ পুরুষ এবং ৭ নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ বছরের ওপরে এক, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে এক, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬, রংপুর বিভাগে ৪, বরিশাল বিভাগে ৩, রাজশাহী বিভাগে এক, সিলেট বিভাগে ৪ এবং খুলনা বিভাগে ৬ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন, বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭০৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৭০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৯৯ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯৪০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৯১০ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে এক হাজার ৯৬১ জনকে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৭৫২ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ২২ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ২২২ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৯ হাজার ৫৩০ জন। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৫ হাজার ১৩১টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪২৭৯ জন এবং খালি ১০ হাজার ৮৫২টি শয্যা। এর মধ্যে ঢাকা শহরের হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭০৫৩টি, ভর্তি রোগী ২১০৩ জন এবং শয্যা খালি আছে ৪৯৫০টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৬৬২টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৮৮ জন এবং খালি রয়েছে ৩৭৪টি শয্যা। দেশের অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭৪১৬টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৮৮৮ জন এবং খালি রয়েছে ৫৫২৮টি শয্যা। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮২, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪০১, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৩০ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১২৮৪ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৩৭২, যা ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে ৭০৭, যা ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১৫৯, যা ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ; খুলনা বিভাগে ১৯৪, যা ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে ১০৯, যা ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ; সিলেট বিভাগে ১৩৩, যা ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ; রংপুর বিভাগে ১০৪ জন, যা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮ জন, যা ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা মহানগরিতে আইসিইউ শয্যা ২৮০টি, ভর্তি আছেন ১৮৪ জন, খালি আছে ৯৬টি শয্যা। চট্টগ্রাম মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা ৩৯টি, ভর্তি আছেন ২২ জন, খালি আছে ১৭টি। দেশের অন্যান্য হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ২১৩টি, ভর্তিকৃত রোগী ১০০ জন এবং খালি রয়েছে ১১৩টি। এভাবে দেশে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৫৩২টি, ভর্তিকৃত রোগী ৩০৬ জন এবং খালি রয়েছে ২২৬টি আইসিইউ শয্যা। দেশে মোট অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১২ হাজার ২৮৬টি, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে ৩০৩টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ১১২টি।
×