ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসবের অপেক্ষা বাড়ল জুভেন্টাসের

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৫ জুলাই ২০২০

উৎসবের অপেক্ষা বাড়ল জুভেন্টাসের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অন্য দলগুলো সুযোগ কাজে লাগতে পারলে এবার ইতালিয়ান সিরি’এ লীগে ৯ বছর পর নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলত। কিন্তু জুভেন্টাসের ধারাবাহিক ব্যর্থতার সুযোগ নিতে পারেনি ইন্টাল মিলান, ল্যাজিও, আটালান্টারা। যে কারণে বৃহস্পতিবার রাতে উদিনেসের কাছে ২-১ গোলে হেরেও শিরোপার সুবাস পাচ্ছে জুভেন্টাস। ম্যাচটি জিতলেই তিন ম্যাচ হাতে রেখে টানা নবম ট্রফি নিশ্চিত হয়ে যেত তুরিনের ওল্ড লেডিদের। কিন্তু শেষ সেকেন্ডের গোলে হারের কারণে অপেক্ষা বেড়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোা-পাওলো দিবালাদের। এর আগে গত সপ্তাহে টানা তিন ম্যাচ জয়হীন থাকার পর চতুর্থ ম্যাচে এসে জয় পেয়েছিল জুভেন্টাস। সবমিলিয়ে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে কোচ মাওরিসিও সারির দল। আর দু’টি করে ম্যাচে হার ও ড্র। বর্তমানে ৩৫টি করে ম্যাচ শেষে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে জুভেন্টাস। ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আটালান্টা। তিনে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৭৩। আরেক ম্যাচে ক্যাগলিয়ারিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ল্যাজিও। এই জয়ে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে থেকে ১৩ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলা নিশ্চিত করেছে দলটি। ম্যাচে ল্যাজিওর হয়ে এক গোল করে এবারের লীগে সবচেয়ে বেশি ৩১ গোল করেছেন সিরো ইমোবিলে। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ৩০ গোল করা জুভেন্টাসের রোনাল্ডোকে। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করে গৌরবময় রেকর্ড গড়লেও পরশু রাতে গোল পাননি পর্তুগীজ মহাতারকা। ২০১০ সালের পর প্রথমবার ঘরের মাঠে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে জিতেছে উদিনেস। প্রথম লেগে গত ডিসেম্বরে নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছিল জুভরা। ম্যাচের ৪২ মিনিটে দারুণ এক গোলে জুভদের এগিয়ে দেন ম্যাথুস ডি লিখট। লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি জুভেন্টাস। ৫২ মিনিটে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরান নেস্টোরভস্কি। সতীর্থে ক্রসে ডাইভিং হেডে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড। এরপর ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফোফানা দারুণ গোল করে উদিনেসকে স্মরণীয় জয় পাইয়ে দেন। প্রায় মাঝমাঠে বল পেয়ে এ্যালেক্স সান্দ্রোকে গতিতে পেছনে ফেলে ডি বক্সে ডি লিখটকে কাটিয়ে অসাধারণ গোলটি করেন তিনি। ম্যাচশেষে জুভেন্টাস কোচ মাওরিসিও সারি এই হারের জন্য দায় দিয়েছেন ক্লান্তি ও করোনাভাইরাসের জন্য সৃষ্ট অস্বাভাবিক পরিস্থিতিকে। শিরোপা দৌড়ে থাকা অন্য দুই দল ল্যাজিও ও ইন্টার মিলানও পয়েন্ট হারিয়েছে নিয়মিত। সর্বশেষ ছয় ম্যাচের দুটিতে জিতেছে ইন্টার। সর্বশেষ ১৮ পয়েন্টের মধ্য থেকে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিতে পেরেছে ল্যাজিও। সুযোগে দুই নম্বরে উঠে এসেছে আটালান্টা। তা না হলে হয়তো মাসুল দিতে হতো জুভদের। দলটির কোচ সারি বলেন, মৌসুমটা অনেক কঠিন। প্রত্যেকটা দল স্বাভাবিকের তুলনায় ভিন্ন কন্ডিশনে খেলছে এবং সবাই ক্লান্ত। বলের ওপর ৯০ মিনিট নজর ধরে রাখা মানসিক ও শারীরিকভাবে কঠিন। ম্যাচগুলো অদ্ভুত, সহজেই পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। শারীরিক ক্লান্তির চেয়ে মানসিক ক্লান্তিটাই বেশি। এভাবে টানা ম্যাচ খেলা খুব কঠিন। আমি বুঝতে পারছি ওদের (ফুটবলার) খুব কষ্ট হচ্ছে।
×