ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় বরাদ্দ তাঁবু এক বছর পড়ে আছে গুদামে

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২৫ জুলাই ২০২০

বগুড়ায় বরাদ্দ তাঁবু এক বছর পড়ে আছে গুদামে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্গতদের অস্থায়ী আবাসন কাজে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দকৃত তাঁবু এক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার গুদামে পড়ে থাকলেও দুর্গতদের কাজে ব্যবহার হচ্ছে না। দীর্ঘ এক বছর ধরে এসব তাঁবু পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হওয়ার পথে কিনা সে বিষয়েও জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিস জানাতে পারেনি। মূলত ব্যবহারের পর ফেরতযোগ্য এই তাঁবুগুলো ব্যহারের সময় ছিদ্র বা কেটে ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এর দায়িত্ব নিয়ে দুর্গতদের ব্যবহারের জন্য দেয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখানোয় তা গুদামেই পড়ে রয়েছে বলে সূত্র জানায়। এর মাঝে কয়েক দফা বন্যা পার হলেও দুর্গতের ব্যবহারের জন্য এই তাঁবু গুদামেই পড়ে রয়েছে। তবে বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক ‘তাঁবু’ ব্যবহারের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে উল্লেখ করে জানান, বগুড়ার বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ৭০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। তাঁবুর বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে এবার বগুড়ায় যমুনা তীরবর্তী ৩ উপজেলায় বন্যা ও ভাঙ্গনের কারণে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আবার শুধু উঁচু এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন দুর্ভোগ নিয়ে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর উপজেলা প্রশাসন বাঁধ ও বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নেয়ার কথা জানান। তবে তাঁবুর বিষয়ে বন্যাকবলিত সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা জানান, তাঁবু নেয়ার বিষয়ে তাদের কাছে কেউ চাহিদা দেয়নি। সূত্র জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর গত বছরের জুলাইয়ে বন্যা, ভূমিধসসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত জেলা হিসেবে দেশের ১৫ জেলায় ৫শ’ সেট তাঁবু (ট্রলিসহ) সরবরাহ করে। এর মধ্যে বগুড়াসহ উত্তরের ৭ জেলায় এই তাঁবু বরাদ্দ দেয়া হয় বলে সূত্র জানায়। তাঁবু এই বরাদ্দ পত্রে বলা হয়, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অস্থায়ী আবাসন কাজে ব্যবহার করা যাবে। জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে তাঁবু বরাদ্দ দেয়া হয়। সূত্র আরও জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের ওই বরাদ্দপত্রে বলা হয় তাঁবু যেন কাটা ছেঁড়া না হয় এবং বার বার ব্যবহার হয় সেভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ত্রাণ সংশ্লিষ্ট ও দুর্যোগ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত একাধিক সূত্র জানায়, ব্যবহার করতে গেলে ক্ষতি হবেই কিন্তু শর্ত উল্লেখ থাকায় কোন কর্মকর্তা বা বিতরণ করবেন এমন জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি জেনে বিতরণের বিষয়ে আনাগ্রহ দেখান। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা জানান, ফেরতযোগ্য ও নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় কেউ বিতরণে আগ্রহী নয়।
×