ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেসেঞ্জারের নতুন প্রাইভেসি ফিচারে যা রয়েছে

প্রকাশিত: ১২:৩২, ২৪ জুলাই ২০২০

মেসেঞ্জারের নতুন প্রাইভেসি ফিচারে যা রয়েছে

অনলাইন ডেস্ক ॥ মেসেঞ্জারের জন্য দু’টি নতুন প্রাইভেসি ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। এর মাধ্যমে মেসেঞ্জার এখন অনেকটাই সুরক্ষিত, দাবি ফেসবুকের। একটি ফিচারের মাধ্যমে কে কে ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া যাবে। অপর ফিচারের মাধ্যমে মুঠোফোনের মেসেঞ্জার অ্যাপে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ অ্যাপলক ফিচার জুড়ে দেওয়া হয়েছে। মেসেঞ্জারে যোগ করা অ্যাপলক ফিচারটি, মুঠোফোনের সিকিউরিটি লকের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করার ইন্টারফেস তৈরি করেছে ফেসবুক। ব্যবহারকারীর ফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেসলক বা অন্যান্য সিকিউরিটি ব্যবহার করে প্রাইভেসি ফিচারটি ব্যবহারকারীর জন্য বাড়তি সুরক্ষা এনে দেবে। ফলে গ্রাহক ব্যতীত অন্য কেউ মুঠোফোনটি ব্যবহার করে মেসেঞ্জারে প্রবেশ করতে পারবে না। ফিচারটি বর্তমানে আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের জন্য দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্যও চালু করা হবে। এছাড়া ফেসবুকেও যোগ করা হচ্ছে আরো নতুন কয়েকটি প্রাইভেসি ফিচার। যার মাধ্যমে ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশনেও অ্যাপলক ফিচার, ব্লকিংয়ের আধুনিক ফিচারসহ আরও কয়েকটি ফিচার থাকবে। ফিচারটি ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী নিজে থেকে নির্ধারণ করে দিতে পারবেন কার কল বা বার্তা আসবে এবং আসলেও কোথায় আসবে কিংবা আসবেই না। মেসেঞ্জারে আরও একটি ফিচার নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। ফিচারটির মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী Message Requests ফোল্ডারে আসা অপরিচিত জনের বার্তাগুলোর ছবি ব্লার বা ঘোল অবস্থায় দেখতে পাবেন। ফলে বিব্রতকর পরিস্থিত/স্ক্যাম এড়াতে সুবিধাজনক হবে ব্যবহারকারীর জন্য। বিশ্বের সব থেকে বড় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কাছে ২০০ কোটিরও বেশি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা না দিতে পারার কারণে একাধিকবার সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। বিশেষত “ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডাল”র পরে সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকের। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার ঘটনায় প্রায় ৮.৭ কোটি ব্যবহাকারীর তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশ করে ফেসবুক। এছাড়া গত বছর লক্ষাধিক ইন্সটাগ্রাম পাসওয়ার্ড প্লেইন টেক্সট হিসেবে সংরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা কিনা শুধু অ্যাকাউন্টের গ্রাহকের কাছে থাকার কথা। এমনকি ফেসবুক অনুমতি ছাড়াই ১৫ লাখের বেশি গ্রাহকের ই-মেইলের তথ্য সংগ্রহ করে আসছিল কয়েক বছর ধরে।
×