ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ ৮ দিন পর মারা গেল

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২৪ জুলাই ২০২০

স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ ৮ দিন পর মারা গেল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২৩ জুলাই ॥ আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জোৎস্না বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূ। গত ১৬ জুলাই পারিবারিক কলহ ও যৌতুকের দাবিতে ওই গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী রাশেদ ম-ল (৩১)সহ তার পরিবারের সদস্যরা। জোৎস্না বেগম ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদাহ গ্রামের লতিফ ম-লের ছেলে রাশেদ ম-লের স্ত্রী এবং ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের খলিল ম-ল হাট এলাকার সামাদ শেখের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে রাশেদ মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জোৎস্না । ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতেই তার লাশ খলিল ম-ল হাট গ্রামে বাবার বাড়ি নিয়ে আসা হবে। জোংস্না বেগমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর আগে জ্যোৎস্নার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পরে স্বামী রাশেদের সঙ্গে বড় আকারে ঝগড়া লাগলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলমিশ করে দেন। তারপরও মাঝে মধ্যে টাকার জন্য জ্যোৎস্নাকে নির্যাতন করত স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, গত ১৬ জুলাই জ্যোৎস্নার সঙ্গে তার স্বামীর যৌতুকের দাবিতে ঝগড়া হয়। পরে জ্যোৎস্নার স্বামী রাশেদ ম-ল ও তার পরিবারের সদস্যরা জ্যোৎস্নার গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। জ্যোৎস্নার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় জ্যোৎস্নার ভাই জলিল শেখ বাদী হয়ে গত ১৮ জুলাই স্বামী রাশেদ ম-ল ও দেবর হাসিব ম-লকে আসামি করে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। এ মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
×