ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ২৪ জুলাই ২০২০

ঝলক

সূর্যের সবচেয়ে কাছ থেকে ছবি পৃথিবী থেকে কোন শক্তিশালী লেন্সেই সূর্য ধরা দেয় না। সেই অপ্রাপ্তি মেটাল নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তৈরি সৌর অরবিটার। সম্প্রতি ওই সৌর অরবিটার একগুচ্ছ ছবি পাঠিয়েছে। তার মধ্যে এ পর্যন্ত সূর্যের সবচেয়ে কাছের একাধিক ক্লোজআপ ছবিও রয়েছে। সর্বসাধারণের জন্য ওই ছবি দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা নাসা। উৎক্ষেপণের পর থেকে এই প্রথমবার ছবি পাঠালো সোলার অরবিটার। এই সোলার অরবিটার হলো সান-অবজার্ভিং স্যাটেলাইট। নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার মিশন। ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নাসা এবং ইএসএ’র যৌথ উদ্যোগে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল প্রথম সৌর অরবিটার। ইউরোপীয় সময় রাত ১১টা ৩ মিনিটে লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪১ থেকে ইউনাইটেড লঞ্চ এ্যালায়েন্স এ্যাটলাস ভি রকেটে করে পাঠানো হয় সৌর অরবিটারটি। উৎক্ষেপণের সময় ঘোষণা করা হয়েছিল মহাকাশ থেকে সূর্যের মেরুগুলোর ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাতে পারবে এই মহাকাশযান। উৎক্ষেপণের পরদিন গত সোমবার দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে জার্মানির ডারমস্টাডেটের ইউরোপীয় স্পেস অপারেশন্স সেন্টারের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান থেকে একটি সঙ্কেত পেয়ে নিশ্চিত সোলার অরবিটারের সৌর প্যানেলগুলো সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি ওই অরবিটারটি প্রথমবার সূর্যের কাছাকাছি আসে। তবে বৃহস্পতিবার ওই অরবিটার সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এই দিনটির জন্য অনেক আগে থেকেই কাউন্টডাউন শুরু করে দিয়েছিলেন নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। সূর্য থেকে মহাকাশযানের দূরত্ব হয় সাড়ে সাত কোটি কিলোমিটারের মতো। পরের পর্যায়ে দূরত্ব আরও কমিয়ে চার কোটি কিলোমিটারেও পৌঁছাতে পারে সোলার অরবিটার। তখন বুধের থেকেও সে সূর্যের আরও কাছে পৌঁছে যাবে। -নাসা হদিস মিলল দুই ব্যাকটেরিয়ার খাওয়ার পানিকে কত বেশি করে বিষমুক্ত করা যায়? খাবার পানিকে দূষিত করার অন্যতম দুই কারিগরের এই প্রথম হদিস মেলায় এবার পানিকে আরও নিখুঁতভাবে পরি¯্রুত করা সম্ভব হবে। এই কারিগররা হলো নতুন দুটি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া। যারা বেঁচে থাকে পানীয় জলে মিশে থাকা অত্যন্ত বিষাক্ত ধাতু ম্যাঙ্গানিজ খেয়ে। যে বিষাক্ত ম্যাঙ্গানিজকে খাওয়ার পানি থেকে সরানোটা এখনও পর্যন্ত বেশ দুঃসাধ্যই। আর খাওয়া-দাওয়ার পর তারা আরও বিষাক্ত পদার্থ মেশায় পানীয় জলে। কারণ তাদের বংশবৃদ্ধি করতে। ম্যাঙ্গানিজ খেয়ে বেঁচে থাকা নতুন এই দুটি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ। এই জার্নালে বলা হয়, এই প্রথম কোন ব্যাকটেরিয়ার হদিস মিলল যারা বেঁচে থাকে, বেড়ে ওঠে অত্যন্ত বিষাক্ত ধাতু ম্যাঙ্গানিজ খেয়ে। আবিষ্কৃত এই দুই প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘ক্যান্ডিডেটাস ম্যাঙ্গানাইট্রোফাস নোডুলিফরম্যান্স’ এবং ‘রামলিব্যাকটার লিথোট্রফিকাস’। অন্যতম প্রধান গবেষক ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ক্যালটেক) অধ্যাপক জারেড লেডবেটার বলেছেন, ‘গবেষণাগারের কাঁচের জারটা যদি ট্যাপ ওয়াটারে ধুয়ে পরিষ্কার করার কথা না ভাবতাম তাহলে হয়তো কোনদিনও এদের কথা জানতেই পারতাম না। গবেষকদলের অন্যতম সদস্য ক্যালটেক-এর পোস্ট ডক্টরাল গবেষক অগ্নিভ মিত্র জানিয়েছেন, বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার জন্য কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া যে ম্যাঙ্গানিজ খায়, এমন একটা সন্দেহ অনেকদিন ধরেই ছিল বিজ্ঞানীদের। এক শতাব্দীরও আগে দেখা গিয়েছিল, নাইট্রোজেন, সালফার ও লোহা থেকে ইলেকট্রন বের করে নিতে পারে ব্যাকটেরিয়া। সেটা যে তাদের জীবনধারণের জন্যই, সেই ধারণাও ছিল বিজ্ঞানীদের। -নেচার অব সাইন্স
×