ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শনাক্ত ২৮৫৬

করোনায় আরও ৫০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২৪ জুলাই ২০২০

করোনায় আরও ৫০ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৫০ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২৮৫৬ জন। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ২৮০১ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ১৬ হাজার ১১০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ২০০৬ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ২০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৯৮টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৭টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩০ শতাংশ । বৃহস্পতিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে ৪১ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে চার জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আট জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে সাতজন, বরিশাল বিভাগে চারজন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে একজন এবং খুলনা বিভাগে সাতজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৭ জন, বাসায় মারা গেছেন ৩ জন। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬৯৭ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ১৬০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৩৩ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৪১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৪৫ হাজার ২০১ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে দুই হাজার ৮৫৯ জনকে। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে চার লাখ ১৯ হাজার ৭৯১ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩২৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার ২০০ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৯ হাজার ৫৯১ জন। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৬৮টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪২৬১ জন এবং খালি ১১ হাজার ২০৭টি শয্যা। এর মধ্যে ঢাকা শহরের হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭০৭৩টি, ভর্তি রোগী ২২১২ জন এবং শয্যা খালি আছে ৪৮৬১টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৬৬২টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৯০ জন এবং খালি রয়েছে ৩৭২টি শয্যা। দেশের অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭৭৩৩টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৭৫৯ জন এবং খালি রয়েছে ৫৯৭৪টি শয্যা। নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা ২৭৪টি, ভর্তি আছেন ১৬৮ জন, খালি আছে ১০৬টি শয্যা। চট্টগ্রাম মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা ৩৯টি, ভর্তি আছেন ২২ জন, খালি আছে ১৭টি। দেশের অন্য হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ১৯৮টি, ভর্তিকৃত রোগী ৯২ জন এবং খালি রয়েছে ১০৬টি। এভাবে দেশে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৫১১টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৮২ জন এবং খালি রয়েছে ২২৯টি আইসিইউ শয্যা। দেশে মোট অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১২ হাজার ২২৩টি, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে ২৭৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ১১০টি অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৮৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৮৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭৯৯ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১২১১ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৩২০ জন, যা ৪৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৮৮ জন, যা ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১৪৯ জন, যা ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ; খুলনা বিভাগে ১৭৮ জন, যা ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে ১০০ জন, যা ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ; সিলেট বিভাগে ১২৫ জন, যা ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ; রংপুর বিভাগে ৯১ জন, যা ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮ জন, যা ২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
×