ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় ২১ হাজার খামারির লোকসানের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২৩ জুলাই ২০২০

পাবনায় ২১ হাজার খামারির লোকসানের আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা ॥ ঈদ-উল-আজহা যতই এগিয়ে আসছে খামারীদের হৃদস্পন্দন যেন বেড়েই চলছে। জেলার ২০টি কোরবানীর হাটে প্রতিদিন প্রচুর গবাদী পশু আমদানি হলেও ক্রেতার দেখা তেমন মিলছে না। আবার যাও বা বিক্রি হচ্ছে তা গত বারের তুলনায় দাম অত্যন্ত কম। তাই এবার জেলার ২১ হাজার বাণিজ্যিক খামারী ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন। পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত আল-মামুন হোসেন জানান, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে জেলায় প্রায় ২১ হাজার খামারি যারা গাভি ও ষাঁড় পালন করেন।আরও অন্তত ২০-২৫ হাজার ক্ষুদ্র কৃষক নিজ উদ্যোগে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন। এছাড়া জেলায় প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার হতদরিদ্র মহিলা এনজিও’র টাকায় গরু পালন করে থাকেন। খামারি, ক্ষুদ্র কৃষক ও হতদরিদ্র গৃহিণীর পালন করা গরু মিলিয়ে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার গরু কুরবানির হাটে উঠছে। অন্যদিকে প্রায় ৪০ হাজার ক্ষুদ্রচাষির এক লাখ ১৫ হাজার হাজার ছাগল, ভেড়ার বাজারে উঠছে। সব মিলিয়ে এবার কোরবানিতে দুই লাখ ৩৫ হাজার থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার গরু-ছাগল, ভেড়া বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গড় দাম হিসাবে জেলায় প্রায় ২শ থেকে ২শ বিশ কোটি টাকার গরু- ছাগল বিক্রির টার্গেট থাকলেও করোনা সঙ্কটে দাম ২০-২৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় এ লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে। কারণ এবার পাবনার কুরবানির হাটে গরু-ছাগল ও মহিষের দাম গত বছরের তুলনায় ২০-২৫ শতাংশ কম।জেলার অরোনখোলা, হাজির হাট, বনগ্রাম হাট, আতাইকুলা, কাশিনাথপুর ও সুজানগর হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কয়েক দিনে প্রচুর কোরবানির গরু মহিষ আমদানি হলেও ক্রেতার অভাবে তেমন বিক্রি হচ্ছে না।আর যা বিক্রি হচ্ছে তা গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কম। প্রতিবছর ঢাকা, ময়মনসিং, চট্রগ্রাম থেকে গরুর বেপারীরা এসব হাটে আসলেও এবার তাদের দেখা নেই।আর স্থানীয় ব্যাপারীরা যারা প্রতি বছরের মতো লাভের আশায় আগেই গরু কিনে রেখেছিলেন তাদের ও এবার মাথায় হাত। কোরবানির বেচা-কেনা ও দাম কম হওয়ায় হাট ইজারাদাররাও প্রমাদ গুনছেন। ইজারাদাররা জানান, প্রতিযোগিতামুলকভাবে অনেক টাকায় তাদের হাট ডাকতে হয়েছে। তাদের টার্গেট কোরবানির কয়েক হাটের খাজনা আদায়ে তাদের বিনিয়োগের বড় অংশ উঠে আসবে। কিন্তু হাটের বিক্রির অবস্থা দেখে তারা হতাশ হচ্ছেন।
×