ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুক্রবার শুরু সিরিজ ফয়সালার তৃতীয় ও শেষ টেস্ট

উইন্ডিজের অগ্নিপরীক্ষা, মধুর সমস্যায় ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ২৩ জুলাই ২০২০

উইন্ডিজের অগ্নিপরীক্ষা, মধুর সমস্যায় ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাকালে চলমান প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দ্বৈরথটা এ পর্যায়ে বেশ জমে উঠেছে। সাউদাম্পটনে প্রথম টেস্টে ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দ্বিতীয় টেস্টে ১১৩ রানের বড় জয়ে ১-১ এ সমতা ফিরিয়েছে ইংলিশরা। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, জেসন হোল্ডার, বেন স্টোকস, স্টুয়ার্ট ব্রডদের লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে। শুক্রবার একই ভেন্যুতে শুরু সিরিজ ফয়সালার তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। প্রথম টেস্টে ক্যারিবীয়দের জয়ের নায়ক ছিলেন পেসার গ্যাব্রিয়েল। বল হাতে তাকে ভাল সমর্থন দিয়েছেন অধিনায়ক হোল্ডার। ব্যাট হাতে ৯৫ রানের দারুণ এক ইনিংসে আলো ছড়িয়েছেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তবে সাউদাম্পটন হয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, সর্বোপরি সফরকারীদের ব্যাটিং প্রত্যাশিত নয়। ফয়সালার দ্বৈরথে এটি নিয়েই বেশি চিন্তিত কোচ ফিল সিমন্স। উইন্ডিজ কোচ বলেন, ‘দলের ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠতে পারেনি। তাই শেষ দিন ম্যাচ ড্র করার সুযোগ থাকার পরও আমাদের হারতে হয়েছে।’ শেষ টেস্টে টপঅর্ডারে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে দলের সেরা দুই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভো ও শিমরন হেটমায়ার ইংল্যান্ডে আসেননি। ক্যারিবীয়দের মিডলঅর্ডার তাই খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এছাড়া একাদশে একমাত্র স্পেশাল ওপেনার ক্রেইগ ব্রেথওয়েট। শেষ টেস্টে তার সঙ্গে দেখা যেতে পারে শাইনি মোসলেকে। মিডলঅর্ডারে যোগ দিতে পারেন অনুশীলন ম্যাচে সেঞ্চুরি করা জসুয়া ডা সিলভা। সিমন্স বলেন, ‘ওয়ানডেতে শাই হোপের ব্যাটিং গড় ৫২.২০। কিন্তু টেস্টে মোটেও আশানুরূপ নয়; মাত্র ২৬.৩৫। হোপের পারফর্মেন্সে হতাশ সিমন্স, ‘হ্যাঁ, আমি উদ্বিগ্ন। চার ইনিংস খেলেছে সে, কিন্তু হোপের বড় ইনিংস নেই। গেল পাঁচ-ছয় মাস ওয়ানডে ফরমেটে দারুণ খেলছে সে। কিন্তু টেস্টে নিজেকে মেলে ধরতে পারছে না। আমি তার ফর্ম নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ উইন্ডিজ কোচ আরও বলেন, ‘দুই টেস্টে ব্যাটসম্যানরা পাঁচ-ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি করেছে। কিন্তু কেউই সেঞ্চুরি করতে পারেনি। এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে আমরা কথা বলছি, কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। এটি খুবই হতাশার। আমার মনে হয়, আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য সেঞ্চুরি করাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের শতরান করতে হবে যাতে বোলাররা লড়াই করার সুযোগ পায়।’ সিমন্স যখন ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত তখন বোলিং লাইনআপ বাছতে মধুর সমস্যায় ইংল্যান্ড কোচ ক্রিস সিলভারউড। দুই ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন একাদশ খেলানো হয়েছে। প্রথম টেস্টে জেমস এ্যান্ডারসনের সঙ্গে ছিলেন মার্ক উড এবং জোফরা আর্চার। আর দ্বিতীয় টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে ক্রিস ওকস এবং স্যাম কুরান। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ছিলেন বেন স্টোকস। এদের মধ্যে থেকেই এবার তৃতীয় টেস্টের জন্য লাইনআপ বাছাই করতে হবে। ইংলিশ কোচ জানিয়েছেন, সম্ভাব্য শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ নিয়েই খেলতে নামবেন তারা। সিলভারউড বলেন, ‘সম্ভাব্য শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ নিয়েই মাঠে নামতে হবে আমাদের। সবাইকে সবসময় খুশি করা কঠিন। তবে সঠিক কারণে কোন সিদ্ধান্ত নিলে, আশা করি সবাই সেটি অনুধাবন করতে পারবে। ব্যাপারটি হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সৎ থাকা এবং যা করতে চাচ্ছি ও যে কারণে চাচ্ছি, সেটি নিয়ে খোলামেলা কথা বলা।’ পেস আক্রমণ ছাড়াও দলের আরও কিছু জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে সিলভারউডকে। স্পিনার ডম বেস এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলারের পারফর্মেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ইংলিশ কোচ জানিয়েছেন, দলের প্রয়োজনে বিশ্বমানের ক্রিকেটারদেরও একাদশের বাইরে রাখতে পারেন তিনি, ‘সবাই চায় সব ম্যাচে খেলতে। ওরা সবসময় খেলতে না চাইলেই বরং আমি হতাশ হব। যখন বিশ্বমানের ক্রিকেটারদেরও একাদশের বাইরে রাখতে হয়, তার মানে ইংল্যান্ড দল দারুণ অবস্থায় আছে। কাজটি কখনোই সহজ নয় এবং সবসময়ই চাপে থাকতে হবে। তবে চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব সৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার।’
×