ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান ইমরান খান

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ২২ জুলাই ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান ইমরান খান

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গত বছর অক্টোবরে দিল্লী সফরের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ১০ মাস পরে ইমরান খান আবার শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বুধবার দুপুরে এই ফোনালাপ হতে পারে। খবর ওয়েবসাইটের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘তাদের আগ্রহের বিষয়টি আমাদের জানানোর পরে এই টেলিফোনে আলাপের বিষয়টি নির্ধারিত হয়।’ কী বিষয় নিয়ে আলাপ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পাকিস্তানিরা আমাদের জানায়নি।’ অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকায় অবস্থিত ইসলামাবাদ মিশন টেলিফোন আলাপের অনুরোধের বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে দুই দেশের সরকার প্রধানের কথা বলার বিষয়টি নির্ধারিত হয়।’ গত সপ্তাহে ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেছেন জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ওই রাষ্ট্রদূত। দুই বছরের বেশি পাকিস্তান দূতাবাসে কোনও রাষ্ট্রদূত ছিল না উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী গত ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। ঢাকায় আসার আগে গত ডিসেম্বরে ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাষ্ট্রপতি ‘কাশ্মীর ইস্যু’ এবং ‘দখলিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয়দের হাতে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ বিষয়টি বেশি করে প্রচার করার জন্য তাকে নির্দেশ দেন বলে রেডিও পাকিস্তানের এক খবরে জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পাচ্ছেন কারিগরি মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা ॥ করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কারিগরি, মাদ্রাসা ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এককালীন আর্থিক অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের ৫১ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষক ও ১০ হাজার ২০৪ জন কর্মচারীকে ২৮ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া হবে। জানা গেছে, শিক্ষকদের জনপ্রতি পাঁচ হাজার ও কর্মচারীদের জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই ১৩ হাজার ৯২৯টি কওমি মাদ্রাসার এতিম ও দুস্থদের জন্য ১৬ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের নন-এমপিও ৮০ হাজার ৭৪৭ জন শিক্ষক ও ২৫ হাজার ৩৮ জন কর্মচারীর অনুকূলে ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
×