ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডুবে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল

উত্তরাঞ্চলে লাখো মানুষ পানিবন্দী, দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ২০ জুলাই ২০২০

উত্তরাঞ্চলে লাখো মানুষ পানিবন্দী, দুর্ভোগ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বন্যায় উত্তরাঞ্চলে লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি ও উজানের পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট নিমজ্জিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। নীলফামারীতে অবিরাম বৃষ্টিতে তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টিতে ডুবেছে শহরের রাস্তাঘাট। তলিয়ে গেছে জমির ফসল। কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উপজেলা শহরসহ ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। নওগাঁয় আত্রাই নদীর বাঁধ ও শহররক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে জেলার কমপক্ষে চার হাজার ১০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ও বীজতলা তলিয়ে গেছে। গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও নদী ভাঙ্গন বেড়েছে। সদর উপজেলার কমপক্ষে ৩১৮ পরিবার গত পাঁচদিনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মাদারীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার চরাঞ্চলের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছে দুই হাজার পরিবার। বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে পদ্মা-যমুনার শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়া মানিকগঞ্জে শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। মুষলধারে বৃষ্টিতে ডুবেছে নীলফামারী। রবিবার ভোর চারটা থেকে শুরু হয় অবিরাম বর্ষণ। মাঝে মাঝে থেমে পুনরায় বৃষ্টি। এতে করে ডুবে গেছে শহর ও গ্রামের বহু রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ির আঙ্গিনা। তলিয়ে গেছে ফসলী জমির মাঠ। জেলা শহরের বাবুপাড়া, সওদাগরপাড়া, মাছুয়াপাড়া, নিউবাবুপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, বাড়াইপাড়া, মিলনপল্লী, সবুজপাড়া, শাহীপাড়া, শান্তিনগরসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে ভাসছে। পথচারী থেকে রিক্সাচালক নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। এদিকে বৃষ্টিতে ভরা পানির পুকুরে ডুবে ডিমলার দক্ষিণ খড়িবাড়ি সর্দারপাড়া গ্রামে আড়াই বছরের শিশু মাইষা মনি তুবা নামের এক শিশু মারা গেছে। শিশুটি ওই গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে বলে জানা গেছে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র সূত্র মতে, নীলফামারী শহরে ২৪ ঘণ্টার হিসেবে ১২০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হলেও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র সূত্র মতে, বৃষ্টির পানিতে তিস্তা নদীসহ জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ছয়টায় বিপদসীমার (৫২.৬০ মিটার) ১৫ সেমি নিচ (৫২.৪৫ মিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বেলা তিনটায় পানি কমেছে ১৫ সেমি। তবে চারালকাটা, যমুনেশ্বরী, চিকলী, কুমলাই, দেওনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুড়িগ্রাম ॥ ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এখনও বিপদসীমার ওপরে বইছে এই দুই নদীর পানি। রবিবার ভোর থেকে দিনভর টানা বৃষ্টিতে আবারও পানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বৃিষ্টর কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রক্ষপুত্র নদের তীব্র স্রোতে চিলমারীর কাচকোলে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে পানি ঢুকে চিলমারী উপজেলা শহর ও সংলগ্ন ৫০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এই উপজেলায় পানিবন্দী হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। কেসি রোড ও উপজেলা সড়কসহ অসংখ্য সড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন, ফুড গোডাউন, থানাসহ বাসাবাড়ি ও দোকানপাট নিমজ্জিত হয়েছে। শত শত পরিবার গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক ও কুড়িগ্রাম-রমনা রেললাইনের ধারে। বড়চর, নটারকান্দি, ঢুষমারা, বজরা দিয়ারখাতা, বাতাসু কাজল ডাঙ্গা, হাতিয়া বকসি, নাইয়ারচর, দুইশো বিঘা, গয়নার পটল, বড়বাগ, খেদাইমারী, খেরুয়ার চর, শাখাহাতী, মনতোলা, তেলীপাড়া, মাঝস্থল, গুড়াতিপাড়া, বাসন্তি গ্রাম, মাঝিপাড়া, হাটি থানা, কালিকুরা, সড়কটারী, দক্ষিণ খামার এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরে হাঁটু পরিমাণ পানি ঢুকে পড়ায় এসব এলাকার লোকজন আশ্রায়ন কেন্দ্র, বাঁধের রাস্তা, স্কুল, মাদ্রসাসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে গবাদিপশুসহ আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটিতে ৫০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। মাথাগোঁজার ঠাঁই পেলেও দুর্ভোগের শেষ নেই আশ্রিতদের। খাদ্য সঙ্কট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন তারা। আশ্রয়ন কেন্দ্রটিতে পানি ধারণের জন্য পানির ট্যাংক ও পাম্প থাকলেও তা এখন বিকল। পানির লাইনের সামান্য ত্রুটির কারণেই পাম্পটি দীর্ঘদিন থেকে বিকল। বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতে একবুক পানিতে ভিজে যেতে হয় আশ্রিতদের। দীর্ঘদিন ধরে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চেলেছে নৌকায় বসবাসকারী বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর। এ অবস্থায় জেলার ৯ উপজেলার ৪শ ৫টি চর-দ্বীপ চরের ৫শ গ্রামে সাড়ে তিন লাখ বানভাসি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠছে। গবাদিপশুর খাবারের সঙ্কটে পড়েছে বন্যাদুর্গতরা। নওগাঁ ॥ আত্রাই নদীর বেশ কয়েকস্থানে বাঁধ ভেঙ্গে, যমুনা নদীর শহররক্ষা বাঁধের আউটলেট দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে জেলায় কমপক্ষে চার হাজার ১৯৪ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল এবং বীজতলা তলিয়ে গেছে। গাইবান্ধা ॥ ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে পানি কমতে শুরু করায় বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নে গত পাঁচদিনে বাজে চিথুলিয়া ও চিথুলিয়া গ্রাম দুটির ৩১৮টি পরিবার নদী ভাঙ্গনে গৃহহারা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর, হরিপুর ও কাপাসিয়ার পোড়ার চর এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়ায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে পদ্মা নদী বেষ্টিত শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি, মাদবরেরচর, বন্দরখোলা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ঘরবাড়ি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু এলাকার বসতঘরে পানি উঠায় ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গবাদিপশু-হাঁস-মুরগি নিয়ে প্রায় দুই হাজার পরিবার ইতোমধ্যে অন্যত্র চলে গেছে। এছাড়াও আড়িয়াল খাঁ নদী সংলগ্ন সন্যাসীরচর, দত্তপাড়ার নিম্নাঞ্চল, শিরুয়াইল, বহেরাতলা, নিলখী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার চরজানাজাত ইউনিয়নের একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গনের কবল থেকে ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল থেকে শিবচর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বন্দরখোলার বন্যা দুর্গত এবং নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। নদীতে বিলীন হয়েছে চরজানাজাতের একটি মাদ্রাসা ভবন। ভাঙ্গন শিকার হওয়ায় তিন ইউনিয়নের অন্তত প্রায় তিন শতাধিক বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন, একটি বাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গনও। নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে উপজেলা প্রশাসনের টিম বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ সময় পানিবন্দীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। মাদবরচর ইউনিয়নের মিনাকান্দি এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর পানি বেড়েছে। এবার ঘরের চাল ছুঁইছুঁই করছে পানিতে। এ এলাকার অনেকেই ঘরবাড়ি ফেলে আশ্রয় কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে গরু-ছাগল নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছে।’ শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকার পানিবন্দী মানুষদের গত বৃহস্পতিবার থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। সরকারীভাবে ইতোপূর্বে পানিবন্দী পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর কাজ করা হচ্ছে। মানিকগঞ্জ ॥ মানিকগঞ্জে পদ্মা-যমুনার পানি সামান্য কমলেও শাখা নদীর পাবৃদ্ধি পাচ্ছে। পান্দী হয়ে পড়েছে জেলার শত শত পরিবার। শিবালয়, ঘিওর, দৌলতপুর, হরিরামপুর, সাটুও সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। জেলা শহরের আশপাশের আরও নতুন নতুন এলাকা প্লবিত হচ্ছে। চরাঞ্চলে গবাদিপশু নিয়ে বানিভাসি মানুষজন কষ্টে দিনযাপন করছেন। পানিবন্দী হয়ে পড়া অনেকেই নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচুস্থানে অথবা সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা শুরু হয়েছে। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই সেমি কমে এখন বিপদসীমার ৭০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী, জেলার প্রায় ২৩১ বর্গকিমি এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পাঁচ উপজেলার সাত শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে বন্যার ফলে পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার প্রায় নয় হাজার ১৯৬ হেক্টর ফসলী জমি বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর, সাটুরিয়া ও ঘিওর উপজেলার ছয় হাজার মিটার জমি ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। শরীয়তপুর ॥ পদ্মার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে দেশের মধ্যাঞ্চলীয় জেলা শরীয়তপুরে। শরীয়তপুর সদরসহ নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর, কাজিয়ার চর ও নড়িয়া পৌরসভাসহ উপজেলার মোক্তারের চর, কুলকাঠি, ঢালীকান্দি, নওপাড়া, বারইপাড়া, ঢালীপাড়া, শুভগ্রাম এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা, তারাবুনিয়া, দুলারচর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জাজিরা উপজেলার কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজিয়ার চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। শরীয়তপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। গবাদিপশুর খাদ্যেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফরিদপুর ॥ ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। রবিবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার (৮.৬৫) ১০৪ সে.মি (৯.৬৯) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ফরিদপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। ফরিদপুর সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাদীপুর বিল গোবিন্দপুর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২২ মিটার ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে ১০ মিনিটের মধ্যে ৫৭টি বাড়ি নিমজ্জিত হয়েছে।
×