ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিধিমালা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ২১:২০, ২০ জুলাই ২০২০

বিধিমালা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাস্তবায়নে সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুই মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজানকে জামিন দেয়নি আদালত। রবিবার হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাস্তবায়নে সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১২ আগস্ট মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত। রবিবার বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমাযুূন পল্লব এবং তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য এবং সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। জামিন হয়নি পাগলা মিজানের ॥ শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলা দুটির জামিন আবেদন নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে মর্মে আদেশ দেন। রবিবার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেছে। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও মোঃ জাকির হোসেন সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোঃ খুরশিদ আলম খান ও মোঃ আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া। এর আগে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দুই মামলায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের সময় গত বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান। অর্থপাচার মামলায় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি চেক, একটি মানি রিসিট, ছয়টি এফডিআর, একটি ডিপোজিট স্লিপ নিয়ে মোট সাত কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক ও এফডিআর জব্দ করা হয়।
×