ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বৃষ্টিতে আমের বাজারে ধস

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২০ জুলাই ২০২০

ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বৃষ্টিতে আমের বাজারে ধস

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৯ জুলাই ॥ টানা বৃষ্টিতে আমের ভরা মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ের আম বিক্রিতে ধস নেমেছে। মৌসুমের দু’মাস আমের ওপর নির্ভর করে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পাইকার, বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ী, মজুর সবাই একই সঙ্গে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার ২৮৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। আমের ফলন হয়েছে ৪৪ হাজার মে.টন। এর মধ্যে প্রধান আম ছিল সূর্যপুরী ও আম্রপালি। বৃষ্টি থেমে গিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে আমের দাম বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। করোনাকালে আমের বাজারজাতকরণ নিয়ে এমনিতেই শঙ্কায় ছিলেন সবাই, কিন্তু যে শঙ্কা কেউ করেননি সেটাই শেষ পর্যন্ত সবার কাল হয়ে দাঁড়াল। গত চার সপ্তাহ ধরে প্রায় দিন বৃষ্টির ফলে অধিকাংশ আমের গায়ে কালসিটে দাগ পড়েছে। কিছু কিছু আম ফেটে পচন ধরে আবার কিছু আম বোটা নরম হয়ে ঝরে পড়ে। ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করা সম্ভব হয়নি। এবার কী পরিমাণ আমের ক্ষতি হয়েছে তার হিসেব জেলা কৃষি অধিদফতরের হাতে নেই। ঠাকুরগাঁও রোডে আমের বড় বাজার রয়েছে। শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে এবার বসেছে আমের আরেক বাজার। কিন্তু বিক্রি কম। অন্যান্য বছরের মতো বিক্রি নেই। অনেক দোকানদার অলস বসে রয়েছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। আম ব্যবসায়ী সাদেকুল জানান, এবার আম বড় হয়নি, তাছাড়া আমের গায়ে দাগ পড়েছে। তিনি সরাসরি বাগান থেকে মাত্র ৮০০ টাকা মণ আম্রপালি আম কিনেছেন। কিন্তু এই আমও তিনি বিক্রি করতে পারছেন না। তার ছোট দোকানে ৬০ মণ আম পড়ে রয়েছে। অধিক বৃষ্টির ফলে আমের গুণগতমান ভাল না হওয়ায় দূরের ব্যবসায়ীরা আম না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ী আমের বাগান কিনে বিপাকে পড়েছেন। এখন বাগানে প্রতিমণ আম্রপলি আম মাত্র ১ হাজার থেকে বারোশ’ টাকা দাম বলছেন। ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, একবছর আগে আমের বাগান লিজ নিয়ে পরিচর্যা করলাম। সময়মতো সার বিষ সেচ দিলাম। ফলনও ভাল হয়েছে, কিন্তু এখন সে ফল নিয়ে বিপাকে পড়েছি। বিক্রি হচ্ছেনা, বাগান পড়ে আছে।
×