ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রিজ কিনে বাড়িতে নেয়ার পথে সেই ফ্রিজ চাপা পড়ে মৃত্যু

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ১৯ জুলাই ২০২০

ফ্রিজ কিনে বাড়িতে নেয়ার পথে সেই ফ্রিজ চাপা পড়ে মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মালিবাগে ফ্রিজের নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কদমতলীতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক স্কুলপড়ুয়া শিশু মারাত্মক দগ্ধ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাজধানীর মালিবাগে ফ্রিজ কিনে ভ্যানে বাসায় ফেরার পথে ফ্রিজের নিচে চাপা পড়ে আবুল কালাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে মালিবাগের চৌধুরীপাড়ায় ভাড়া থাকতেন। তার একটি রিক্সা গ্যারেজ রয়েছে। নিহতের শ্যালক গিয়াস উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দুলাভাই কালাম একটি পুরাতন ফ্রিজ কিনে ভ্যানে করে চৌধুরীপাড়ার বাসায় ফিরছিলেন। তিনি জানান, ভ্যানটি চৌধুরীপাড়া মুক্তি হাসপাতালের সামনে রাস্তার পাশের একটি গাছের নিচু ডালের সঙ্গে ফ্রিজের ধাক্কা লাগলে কালাম রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় ফ্রিজটি ভ্যান থেকে পড়ে তার ওপর পড়ে। এতে ফ্রিজের নিচে চাপা পড়ে দুলাভাই কালাম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদশর্ক বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেলে কালামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক স্কুলপড়ুয়া শিশু মারাত্মক দগ্ধ ॥ রাজধানীর কদমতলীতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে সাবরিনা (১১) নামে এক স্কুলপড়ুয়া শিশু মারাত্মক দগ্ধ হয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ পার্থ শংকর পাল জানান, শিশু সাবরিনার শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির বাবা শাহ আলম জানান, মেয়ে সাবরিনা স্থানীয় রেনেসাঁ আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিন মেয়ের মধ্যে সে ছোট। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার পশ্চিম শেখপুরে। তিনি জানান, দক্ষিণ ধনিয়া রহিম সাহেবের তৃতীয় তলা ভবনের নিচতলায় সপরিবারে ভাড়া থাকেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার মেয়ে সাবরিনা কাপড় নাড়তে ছাদে যায়। এ সময় ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া হাই ভোল্টেজের তারে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মেয়ে দগ্ধ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাতে শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। শিশুটির বাবা শাহ আলম অভিযোগ করেন, ভবনের পাশ দিয়ে বিপজ্জনকভাবে যাওয়া হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারগুলোর পাশে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাড়ির মালিককে একাধিকবার বলার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। কয়েক মাস আগেও এই ভবনে এ রকম আরও একটি ঘটনায় এক শ্রমিক বিদ্যুতস্পৃষ্টে মারা গিয়েছিলেন। তখন এলাকাবাসীও বাড়ির মালিককে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছিলেন। তিনি যদি সে সময় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতেন তাহলে আমার মেয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হতো না। আমি এর বিচার দাবি করছি। বাড়ির মালিক আব্দুর রহিম অভিযোগ অস্বীকার জানান, তাদের অনবধানতার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে শিশুটি। এর আগেও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে নিহতের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তখন রঙের কাজ করার সময় এক শ্রমিক মারা গেছেন।
×