ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দামী নয়, ডামি স্মার্টফোন দিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৭

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১৮ জুলাই ২০২০

দামী নয়, ডামি স্মার্টফোন দিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৭

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দামী স্মার্টফোনের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহীরা অর্ডার করতেন পছন্দের ফোনটি। বিজ্ঞাপনদাতা সেই অর্ডার পেয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পাঠাত প্যাকেটে মোড়া স্মার্টফোন। গ্রাহক আগ্রহ ভরে সেই প্যাকেট খুলে দেখেন, দামী স্মার্টফোনের বদলে যে ডামি (নকল) ফোন পাঠানো হয়েছে। এ রকমই একটি প্রতারক চক্রের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজার পেছনের রোডে একটি ছয়তলা ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় চক্রের হোতা আশিক বিল্লাহ পালিয়ে যায়। র‌্যাব-২ জানায়, প্রতারক চক্রটি দামী মোবাইলের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিত অনলাইনে। ক্রেতা সেটা অর্ডার করলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হতো। ঠিক তখনই ঘটত বিপত্তি। দামী স্মার্টফোনের প্যাকেট খুলে পাওয়া যেত ডামি ফোন। এ রকম বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে ধরা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেলবিডি.কম ও বিডিএক্সপ্রেস.কম নামে দুটি সাইট থেকে স্মার্টফোনের বিজ্ঞাপন দিত আশিক বিল্লাহ। কিন্তু এই দুটি সাইটের ঠিকানা দেয়া তাজউদ্দীন সরণি ও রাজউক টাওয়ার সাভার এলাকায়। যেন কেউ ওই ঠিকানায় গেলে না পায়। র‌্যাব এই চক্রটি ধরার জন্য তৎপতরা চালায়। পরে র‌্যাব গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে ইস্টার্ন প্লাজায় চক্রটির অফিসে অভিযান চালায়। এর পর আশিক বিল্লাহর ইস্টার্ন প্লাজার পেছনের রোডে ছয়তলা বাসায়ও অভিযান চালানো হয়। সেখানে সিগারেটের কার্টনে থরে থরে সাজানো বিপুল পরিমাণ ডামি মোবাইল ও স্মার্টফোন লেখা বক্স উদ্ধার করা হয়। পরে যে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে স্মার্টফোন পাঠানো হতো সেখানে অভিযান চালানো হয়। কুরিয়ার সার্ভিসে যেসব ঠিকানায় স্মার্টফোন পাঠানো হতো, সেসব ভুক্তভোগীর নাম-ঠিকানা এবং এরই মধ্যে যারা স্মার্টফোনের অর্ডার দিয়েছেন, তাদের নামের তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। জান্নাত নামে আটককৃত এক নারী জানায়, আমি প্রোডাক্ট প্যাকিং ও কোন্ ঠিকানায় যাবে সেটা ঠিক করতাম। মাসিক বেতনে চাকরি ছিল এটা। তবে এটা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ছিল তা আটককৃত নারী স্বীকার করে। এ ব্যাপারে র‌্যাব-২ এর সিপিসি-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মোঃ সাইফুল মালিক জানান, প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে আমরা নিজেরাও দামী ফোনের অর্ডার করি। প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার পর দেখি খেলনা টাইপ মোবাইল। এর পর থেকে গোয়েন্দা অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু তারা যে ঠিকানা ব্যবহার করেছে সেটা ভুয়া। এর পর আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অফিস ও বাসার ঠিকানা বের করে অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে হোতা আশিক বিল্লাহর ভাই মনিরুজ্জামানসহ সাতজনকে আটক করা হয়। হোতা আশিক বিল্লাহকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
×