ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ১৭ জুলাই ২০২০

করোনায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২৭৩৩ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৪৯৬ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৯৪০ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১ লাখ ৬ হাজার ৯৬৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৮৯টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ লাখ ৯৩ হাজার ২৯১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১.২০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪.৪৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মারা ৩৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৩১ জন এবং নারী আট জন। এ পর্যন্ত বিভাগ অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে এক হাজার ২৪২ জন, যা ৪৯.৭৬ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৩৯ জন, যা ২৫.৬৩ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১২৮ জন, যা ৫.১৩ শতাংশ; খুলনা বিভাগে ১৪৪ জন, যা ৫.৭৭ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে ৯১ জন, যা ৩.৬৫ শতাংশ; সিলেট বিভাগে ১১৩ জন, যা ৪.৫৩ শতাংশ; রংপুর বিভাগে ৮৩ জন, যা ৩.৩৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৬ জন, যা ২.২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৯৭১ জন; যা ৭৮.৯৭ শতাংশ এবং নারী ৫২৫ জন; যা ২১.০৩ শতাংশ। নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চার জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৫ জন, আর বাড়িতে চার জন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও বলেন, এ পর্যন্ত মৃত্যুবররণকারীদের বয়স বিভাজনে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, যা দশমিক ৬৭ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, যা ১.১৬ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭৬ জন, যা ৩.০৪ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭৬ জন, যা ৭.০৫ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৫৯ জন, যা ১৪.৩৮ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭৪২ জন, যা ২৯.৭৩ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী এক হাজার ৯৭ জন, যা ৪৩.৯৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৮৬৭ জন, আর আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৭০০ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৪৭ জন, আর আইসোলশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২১ হাজার ৯১৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৩১ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৩৯ জন, আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে গেছেন চার লাখ তিন হাজার ২৬৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৬৪ জন, আর এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন তিন লাখ ৪২ হাজার ৪৫৭ জন। বর্তমানে কোয়ান্টাইনে আছেন ৬০ হাজার ৮১২ জন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৬৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৬৭ জন এবং খালি ১০ হাজার ৭৯৭টি শয্যা। এছাড়া ঢাকা শহরের হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৩০৫টি। সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ২ হাজার ৫১ জন। শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ২৫৪টি। নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা ১৪২টি, ভর্তি আছেন ৮৭ জন, খালি আছে ৫৫টি শয্যা। চট্টগ্রাম মহানগরীতে আইসিইউ শয্যা ৩৯টি, ভর্তি আছেন ১৯ জন, খালি আছে ২০টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা ৬৫৭টি, ভর্তি আছেন ৩১১ জন, খালি আছে ৩৪৬টি বেড। তিনি আরও জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে দেশের অন্যান্য জেলার হাসপাতালে শয্যা আছে ৭ হাজার ৭০২টি। এখানে রোগী ভর্তি আছেন এক হাজার ৮০৫ জন, খালি আছে ৫ হাজার ৮৯৭টি বেড। আইসিইউ আছে ১৯৩টি, রোগী ভর্তি আছেন ৮০ জন এবং খালি আছে ১১৩টি আইসিইউ শয্যা।
×