ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবসে আলোচনা

স্বাস্থ্য খাতের শুদ্ধি অভিযান তৃণমূলে ছড়িয়ে যাবে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ১৭ জুলাই ২০২০

স্বাস্থ্য খাতের শুদ্ধি অভিযান তৃণমূলে ছড়িয়ে যাবে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যার যার জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারাদেশে ‘গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস’ পালন করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মনের ভাষা বোঝেন, তাঁর কাছে কোন অপরাধীর ছাড় নেই। স্বাস্থ্য খাতে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে, তা পর্যায়ক্রমে তৃণমূলে ছড়িয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে ধানম-িতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংসদ ভবন এলাকার নিজ সরকারী বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অনিয়মের আবর্তে থাকা অন্যান্য খাতেও অভিযান চলবে। কেউ জবাবদিহির উর্ধে নয়, দলীয় পরিচয় দিয়ে অনিয়ম ঢাকা যাবে না। দলীয় কার্যালয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ফাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিস রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যার যার নিজের বিবেকের কাছে পরিশুদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অসহায় মানুষের হক নষ্ট না করে তাদের পাশে থাকতে হবে, তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের এই দিনে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের অধিকার আদায়ের কণ্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করে দীর্ঘ ১১ মাস কারাগারে রাখে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিকূলতার ¯্রােত মাড়ানো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের ১০ জুন কারামুক্ত হন বাঙালীর আশার বাতিঘর, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাকে বন্দী করে যারা রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চেয়েছিল, রাজনীতির হাত থেকে জনমানুষের মুক্তির লড়াইকে রুদ্ধ করতে চেয়েছিল, তারা ১১ মাসে বুঝেছে মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দী শেখ হাসিনা অনেক শক্তিশালী। দেশ ও জাতির যেকোন সঙ্কটে শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব ও দক্ষতার ওপর জনগণের দৃঢ় আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার এ সঙ্কটের আঁধার মাড়িয়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে বীর জাতি হিসেবে বাঙালী আবার ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, পিতা মুজিবের পথ অনুসরণ করে দেশের মানুষের জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত মানুষের আশার প্রদীপ শেখ হাসিনা। সঙ্কটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে আবারও গতি সঞ্চার হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ছাড়াও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে জনসমাগম এড়িয়ে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসহযোগী এবং বিভিন্ন সংগঠন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা, সমাবেশসহ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। দুস্থদের মধ্যে খাবার ও করোনা প্রতিরোধ সামগ্রীও বিতরণ করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। দিবসটি উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। এ সময় বক্তারা দলীয় নেতাকর্মীদের দল ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। অপরদিকে কৃষক লীগ এই দিনটি ‘গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস’ নামে পালন করেছে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৪র্থ তলায়। শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। এ সময় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের আহ্বানে দিনটিকে কালো দিবস আখ্যায়িত করে বাদ আছর সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু সুস্থতা কামনা করে যুবলীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
×