ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যায় নতুন ১৫ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ১৬ জুলাই ২০২০

কুড়িগ্রামে বন্যায় নতুন ১৫ গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরির্বতিত রয়েছে। ধরলা তিস্তা, ব্রক্ষপুত্র দুধকুমোর সহ প্রতিটি নদীর পানি সামান্য কমলেও প্রতিটি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ব্রক্ষপুত্রের প্রবল স্রোতে রৌমারীর উপজেলা শহর রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে উপজেলা চত্বরসহ নতুন করে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার রাতে শহর রক্ষা বাঁধটি ভেঙ্গে প্লাবিত হয়। রৌমারী বাজার ও উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী অফিস আদালদ পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় জেলার ৬২ ইউনিয়নের ৫৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। নতুন করে তলিয়ে গেছে রৌমারীর ১৫টি গ্রাম। জেলার ১৬টি নদ-নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে জেলা-উপজেলা শহরের সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বানভাসি মানুষের মাঝে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। উঁচু রাস্তা, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে নৌকার অভাবে অনেকেই নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেনা। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান,কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৭১সেঃ মিঃ, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৯০সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহীপ্রকৌশলী আলীনুরায়েন জানান, জেলার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপরদিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়ক, রৌমারী-তুরা সড়ক, সোনাহাট-মাদারগঞ্জ সড়ক, ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট সড়ক ও ভিতরবন্দ-মন্নেয়ারপাড় সড়কের কিছু অংশ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালির বস্তা ও জিওব্যাগ দিয়ে ক্ষতি কমানোর চেষ্টাকরছি। সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বানভাসিদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে ৪শ’ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে। এরমধ্যে ১৭০ মেট্রিক টন চাল উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বরাদ্দ ১৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকা, ৪ হাজার শুকনা প্যাকেটের মধ্যে ২ হাজার প্যাকেট, ২ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য ও ২ লক্ষ টাকার গো-খাদ্য উপজেলা গুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
×