ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউইয়র্কে সহিংসতায় বাংলাদেশিরা আতঙ্কে

প্রকাশিত: ১২:৩০, ১৬ জুলাই ২০২০

নিউইয়র্কে সহিংসতায় বাংলাদেশিরা আতঙ্কে

অনলাইন ডেস্ক ॥ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই নিউইয়র্ক সিটির আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা ও হামলার ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৪ জুলাই পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের পর থেকেই এই আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। বাংলাদেশিদের মধ্যেও আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। জুলাই মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত নিউইয়র্কের ৪৫টি স্থানে বেশ কয়েক দফা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় সহিংসতায় ১১ জন নিহত হয়েছে। সর্বশেষ দুর্বৃত্তের অস্ত্রের আঘাতে ফাহিম সালেহ খুন হন। এ ঘটনার পর থেকেই ম্যানহাটন এলাকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ৭ জুলাই ব্রঙ্কসের ইস্ট ১৭০ স্ট্রিটে অ্যান্থনি রবিনসন ৬ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ক্রস ওয়াকে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি কালো গাড়ি থেকে অ্যান্থনিকে গুলি করে গাড়িটি দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে অ্যান্থনির মৃত্যু হয়। তবে অ্যান্থনির মেয়ের কোনো ক্ষতি হয়নি। ১১ জুলাই ব্রুকলিনের নিউজার্সি ও ফুলটন স্ট্রিট এলাকায় সন্ধ্যার দিকে একটি হোটেলের ভেতর অতর্কিতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে হামলাকারীদের গুলিতে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ নিহত হন। ৯ জুলাই ম্যানহাটনের ১০৪ স্ট্রিট ও কলম্বাস এলাকায় নাইকিয়ান গার্ডেন নামের ২৯ বয়সী এক তরুণ খুন হন। গত দুই সপ্তাহে একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তেমন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিউইয়র্কে সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য করোনাভাইরাসকে দায়ী করেছেন নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। তিনি বলেন, করোনার কারণে অপরাধ কিছুটা বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে নগরীতে বাস করা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়। তাঁরা বলেন, জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর পুলিশের ওপর বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা হয়। এসব ঘটনায় তেমন কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। উল্টো পুলিশের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অপর দিকে এই পরিস্থিতিতে পুলিশও অপরাধ দমনে কাজ করতে তেমন একটা আগ্রহী নয়। যার কারণে প্রতিদিন খুন, চুরি, ডাকাতি ও হামলার ঘটনা ঘটছে।
×