ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়ক, হুমকির মুখে কয়েক গ্রাম

চাঁপাইয়ে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন রাজশাহীতে

প্রকাশিত: ০১:১৩, ১৬ জুলাই ২০২০

চাঁপাইয়ে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন রাজশাহীতে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতলি ইউনিয়নের রানীনগর মৌজার বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মনির হোসেন বকুল নামের এক বালু ব্যবসায়ী ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকায় বালুমহালটি ইজারা নেন। যা রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। তবে ওই বালু মহালের নামে একটি সিন্ডিকেট রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ ফরিদপুর ও সারাংপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মজুদ এবং সেখান থেকে পরিবহন করছে। স্থানীয় প্রভাবশালী আনারুল বিশ্বাস ও তার ছেলে রোমেন বিশ্বাস এই বালু সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের ছত্রছায়ায় উপজেলার সুলতানগঞ্জ ফরিদপুর ও সারাংপুর এলাকার পদ্মা থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। এতে নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম। এছাড়াও ভারি ট্রাক-লরি ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের কারণে এলাকার সড়কগুলো ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে গেছে। দিন-রাত বালু পরিবহনের কারণে এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বালু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটির মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল অসুখে। এছাড়া সড়কগুলো নষ্ট হয়ে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু গোদাগাড়ী প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফরিদপুর গ্রামের আয়নুল হক জানান, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই অবৈধ বালু কারবারে তারা অতিষ্ঠ। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু মহাল ইজারাদার মনির হোসেন বকুল বলেন, আনারুল বিশ্বাস তার বালু মহাল থেকে ৫০ পয়সা সিএফটি বালু কিনে নিয়ে গিয়ে গোদাগাড়ীতে মজুদ করে। সেখান থেকে তিনি বালু বিক্রি করে। গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইমরানুল হক বলেন, সারাংপুর এলাকায় এর আগে পদ্মা নদীর পাড়ে বালু মজুদের বিষয়টি নিষেধ করা হয়েছিল। সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে সুলতানগঞ্জে বালু তোলার বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক রানীনগর নামক একটি মৌজা লিজ দিয়েছে। সেখান থেকে বালু উত্তোলন করে তারা রাজশাহীর সীমানায় মজুদ করছে। এতে এলাকাবাসীর সমস্যা হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে বিষয়টি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি স্যারের সঙ্গে ও রাজশাহীর ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে তারা এটার সমাধান দিতে পারবেন।
×