ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা

ব্রিটেনে শীতকালে করোনায় মারা যাবে সোয়া লাখ

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৬ জুলাই ২০২০

ব্রিটেনে শীতকালে করোনায় মারা যাবে সোয়া লাখ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় আবার বিধিনিষেধে বন্দী হচ্ছে বিশ্বের লাখো মানুষ। ব্রিটেনে শীতকালে শুরু হবে মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়। আর সে সময় এক লাখ ২০ হাজার মৃত্যুও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুলে ফিরেছে মালয়েশিয়ার শিশুরা। ভারতে একদিনে আক্রান্ত আরও ২৯ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের ৬১ হাজারের বেশি। এছাড়া আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ এমপি। যাদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স, এএফপি, এনডিটিভি ও ওয়ার্ল্ডোমিটার ডট ইনফোর। ওয়ার্ল্ডোমিটারের মতে, এ পর্যন্ত এক কোটি ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৭ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০ লাখ ৩২ হাজার ১১২ জন। যাদের মধ্যে ৫৯ হাজার ৫৭২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৮২ জন। মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৪১৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থও হয়ে উঠেছেন ৩৯ হাজার ৪৩২ জন। আবার বন্দী লাখো মানুষ ॥ বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় নতুন করে বিধিনিষেধের বেড়াজালে বন্দী জীবনে ফিরছে মানুষ। করোনার থাবা এখনও বহুদূর পর্যন্ত স্তৃত এবং এটি ছড়াচ্ছেও ব্যাপক হারে। ফলে ভাইরাসটিতে এরই মধ্যে বিপর্যস্ত হওয়া দেশগুলোকেও আবার ফিরে যেতে হচ্ছে লকডাউনে। করোনায় নাকাল হওয়া স্পেনের পাশাপাশি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, কলম্বিয়া, মরোক্কোসহ অনেক দেশের বহু অঞ্চলে, শহরে, নগরে বিধিনিষেধ ফিরে আসছে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের বেশকিছু নগরীতে ফের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দ্বিতীয়বারের মতো সেসব জায়গায় লকডাউন দেয়া হয়েছে। হংকংয়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি পালনে ফের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সব স্কুল। রোগটি এখন সবচেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে লাতিন আমেরিকায়। আর দুই আমেরিকা মহাদেশে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, অর্ধেকের বেশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬ জন আক্রান্ত নিয়ে এবং এক লাখ ৩৫ হাজার ৬০৫ মৃত্যু নিয়ে উভয়ক্ষেত্রে বিশ্বে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে এবং পাশাপাশি ভারতেও কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ইরান ॥ দেশটিতে করোনা মহামারীর শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারিতে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এরপর দৈনিক সংক্রমণ কমতে শুরু করায় দেশটি লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছিল। বিধিনিষেধ শিথিল হতেই আবার ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি ইরানে করোনায় মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে দুই মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪১০ পেরিয়ে যায়। ওই সময় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলে আবার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ব্রিটেনে শীতে মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায় ॥ ব্রিটেনে এবারের শীতে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে এক লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। পরিস্থিতি কি দাঁড়াতে পারে তার একটি মডেল দিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করলে ২৪ হাজার ৫০০ থেকে দুই লাখ ৫১ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে শুধু হাসপাতালগুলোতেই। এ পর্যন্ত ব্রিটেনে সরকারী হিসাবে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩০ জনের। জুলাইয়ে এ হার অনেকটাই কমেছে। মৃত্যু হয়েছে মাত্র এক হাজার এক শ’ জনের। বিজ্ঞানীদের মৃত্যুর ওই হিসাবে লকডাউন, চিকিৎসা কিংবা ভ্যাকসিনের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বিজ্ঞানীরা এও বলছেন যে, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হলে ঝুঁকি কমানোও যেতে পারে। শীতে করোনা সংক্রমণ কিভাবে ছড়াবে সে বিষয়টি নিয়ে এখনও বড় ধরনের সংশয় আছে। গবেষণা বলছে, ঠা-ায় ভাইরাস দীর্ঘক্ষণ টিকতে পারে। এতে মানুষ অনেকক্ষণ ঘরবন্দী থাকলেও সংক্রমণ ঝুঁকি কমবে না। তখন কেবল করোনা রোগীই নয়, শীতকালীন ফ্লুর মতো রোগের কারণেও স্বাস্থ্যব্যবস্থা চরম চাপের মুখে পড়বে। ব্রিটেনে করোনা মহামারীর প্রথম ধাক্কাতেই স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মডেল বলছে, শীতে দ্বিতীয় পর্যায়ের মহামারীর ধাক্কায় প্রথম পর্যায়ের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। তাদের কথায়, এটি কোন অনুমান নয়, সম্ভাবনা মাত্র। মৃত্যু বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও দ্রুত ব্যবস্থা নিলে মৃত্যু আবার কমেও আসতে পারে। সম্প্রতি ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুটোই কম রয়েছে। সে কারণে দেশটি মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ের আগেই তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া বা পরিকল্পনা করার সুযোগ পাচ্ছে। ব্রিটেনে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে থাকার এই সময়ে ভাইরাস সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে ফিরেছে মালয়েশিয়ার শিশুরা ॥ প্রায় চার মাস পর আংশিকভাবে স্কুল খুলেছে মালয়েশিয়ায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কিছু শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরেছে। দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় স্কুলগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। এর আগে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়। গত কয়েক মাস ধরে বাধ্য হয়েই স্কুলে যেতে পারছিল না শিক্ষার্থীরা। ফলে বাড়িতে বসেই পড়াশুনা করছিল শিশুরা। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৭২৯। এর মধ্যে মারা গেছে ১২২ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮ হাজার ৫২৪ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে গেছে। অপরদিকে, দেশটিতে বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৩ জন। ছয়জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাদজি মোহাম্মদ জিদিনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা নিউজ জানিয়েছে, নতুন করে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় উৎসাহিত করতেই স্কুলগুলো পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, স্কুল ও সেখানকার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতে আরও ৫৮৮ মৃত্যু ॥ ভারতে হু হু করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। দেশটিতে নতুন করে আরও ২৯ হাজার ৮৪২ মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৮১ জন। প্রথমবারের মতো একদিনেই ২৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলো। গত কয়েকদিনে একের পর এক সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙছে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৮২ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২৪ হাজার ৩০৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৩ জন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৬২ দশমিক ২৩ ভাগই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২০ হাজার ৫৭২ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিন লাখ ১৯ হাজার ৮৪০। যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আরও ৬৫ হাজার আক্রান্ত ॥ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমার কোন লক্ষণই নেই বরং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্ত বাড়ছেই। একদিনেই আরও ৬৫ হাজার ৫৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৩০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৪৩২ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬১ হাজার ২৪৮ জন। অপরদিকে একদিনেই মারা গেছেন আরও ৮২৭ জন। যদিও ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, ৬৫ হাজার আক্রান্ত। মৃত্যু ৯৩৫ জন। করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। এরপরেই রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, টেক্সাস ও নিউ জার্সি। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সেখানে আবারও কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। ওই অঙ্গরাজ্যের গবর্নর গ্যাভিন নিউজন এক জরুরী ঘোষণায় জানিয়েছেন যে, তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের রেস্টুরেন্ট, বার, বিনোদনকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। চিড়িয়াখানা ও জাদুঘরও এর আওতায় পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিমের ওই অঙ্গরাজ্যের চার্চ, জিম, সেলুনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ১৪৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ লাখ ১৯৫ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮ লাখ ৫ হাজার ৭৩৯জন। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১৬ হাজার ৩৩৭ জন। মাদাগাস্কারের দুই এমপির মৃত্যু ॥ মহামারী করোনার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত আফ্রিকা মহাদেশ অন্তর্ভুক্ত দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার। এ ভাইরাসে দেশটির অন্তত ২৫ সংসদ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে এক টক শোতে জানান, করোনায় আমাদের এক এমপি ও এক সিনেটরের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় সংসদের সব এমপিদের করোনা টেস্ট করা হলে দেখা গেছে ১১ সদস্য এবং ১৪ সিনেটর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তিনি নিজে এখনও আক্রান্ত নন জানিয়ে বলেন, আমি আক্রান্ত এমপিদের সংস্পর্শে গিয়েছি। এমনকি তাদের দেখতে হাসপাতালেও গিয়েছি। তবে আমার বেলায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ শনাক্ত হয়েছে। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপদেশটিতে গত মার্চে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সংক্রমণের শুরুতেই আক্রান্তের তালিকায় দেশটির আইন প্রণেতাদের দেখা গেছে। ওই সময় থেকেই দেশটিতে জাতীয় জরুরী স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি রয়েছে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী আন্তানানারিভোর পাশাপাশি ফিয়ানারান্তাসোয়া ও তোয়ামাসিনা শহরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছেন প্রেসিডেন্ট। কেউ মাস্ক ছাড় বাইরে বের হলেই তাকে নোংরা রাস্তা ঝাড়ু দিতে আইন পাস করা হয়েছে। সংক্রমণের বিস্তার রুখতে রাজধানী আন্তানানারিভো ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে গত সপ্তাহ থেকে লকডাউন চলছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মাদাগাস্কারে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৬৪ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ হাজার ৬৫৮ জন। এদের মধ্যে ৪৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
×