ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১৪০ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ১৫ জুলাই ২০২০

আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১৪০ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ॥ নওগাঁর মান্দায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে হু-হু করে বাড়ছে আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর পানি। আত্রাই নদীর পানি উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে এখন বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। এতে আত্রাই ও ফকির্ণি নদীর উভয়তীরের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত: ৫০ টি পয়েন্ট ঝুঁকিপর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে এ দুই নদীর উভয়তীরের সাতটি বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই সহস্রাধিক মানুষ। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্গত এলাকার মানুষ বন্যানিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এসব এলাকার মানুষ গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। ভাঙ্গনকৃত বেড়িবাঁধগুলো হলো, পার-নুরুল্লাবাদ, পারনু-রুল্লাবাদ মন্ডলপাড়া, জোঁকাহাট, চকরামপুর, কয়লাবাড়ি, বাইবোল্যা ও পাঁজরভাঙ্গা। মঙ্গলবার রাতে ও আজ বুধবার সকালে এসব বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে ধান, পাট ও সবজির ক্ষেত। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। এর মধ্যে ২০১৭ সালের বন্যায় চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার পর আর মেরামত করা হয়নি। এতে করে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ভাঙ্গনস্থান দিয়ে পানি ঢুকে দুই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে নওগাঁর রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর ঝুঁকিপূর্ন বেরিবাঁধটি ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। পানিতে প্লাবিত হয়ে নষ্ট হওয়ার পথে আউশ ও আমন ধানের বীজতলা। এছাড়াও পানিতে প্লাবিত হয়েছে কিছু সবজির ক্ষেত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করছে। রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন গনমাধ্যমকে বলেন, এই বেরিবাঁধটির সংস্কার করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তাদের অবহেলার কারণে প্রতিবছরই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধটি ভেঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে দুই উপজেলার শতাধিক গ্রাম। আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষরা। তবে ইতোমধ্যেই এবার ভেঙ্গে যাওয়া অংশটিকে মেরামত করে পানি প্রবেশ বন্ধ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
×