ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টসে যেতে কেন দেরি কর

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১৫ জুলাই ২০২০

টসে যেতে কেন দেরি কর

অনলাইন ডেস্ক ॥ স্টিভ ওয়াহর অস্ট্রেলিয়া তখন উড়ছিল।দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই অসিরা মাঠে নামে সেখানেই প্রতিপক্ষকে স্রেফ উড়িয়ে দেয়। কিন্তু ভারতের মাটিতে গিয়ে উল্টো চিত্র দেখতে হয় অসিদের। ভারত ঘরের মাঠে ২-১ ব‌্যবধানে জেতে টেস্ট সিরিজ। ভারতের অন‌্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। সেবারই বিশ্ব ক্রিকেট ভারতীয় অধিনায়ককে নতুন রূপে আবিষ্কার করে। অনফিল্ডে গাঙ্গুলী ছিলেন ধ্রুপদী। অফফিল্ডে আরো নিখুঁত। সেবার তিন টেস্ট আর পাঁচ ওয়ানডেতে অন্তত চারবার দেরীতে টসে করতে যান গাঙ্গুলী। শুরুটা ইডেন গার্ডেনে। ভারতীয় অধিনায়ক অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন স্টিভ ওয়াহকে! ভাবা যায়! তখনকার সময়ে যেটা ভারতীয় ক্রিকেটে অকল্পনীয়! একই কাজ গাঙ্গুলী করেছিলেন অস্ট্রলিয়া সফরে। এর আগে-পরে গাঙ্গুলী অনেকবারই প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে টসের সময় অপেক্ষায় রেখেছিলেন। কিন্তু কেন এমনটা করতেন গাঙ্গুলী। কখনো বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি ভারতের মহারাজ। সতীর্থরাও বিষয়টি নিয়ে একেক সময় দিয়েছেন একক কারণ। এবার সেই আলোচনায় যোগ দিলেন সাবেক পেসার ইরফান পাঠান। বাঁহাতি পেসার বলেন,‘টসের সময় হলে দাদা ঘড়ির দিকে তাকাত। দলের ম্যানেজার এসে বলতেন, টস করতে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। এরপর কাছে থাকা সতীর্থরাও দাদাকে টসের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন। কিন্তু দাদার মধ‌্যে কোনও পরিবর্তন দেখা যেত না।’ স্টিভ ওয়াহর শেষ টেস্টেও সিডনিতে এমন কাজ করেছিলেন গাঙ্গুলী। সেই ম‌্যাচের স্মৃতি এখনও মনে আছে ইরফানের। তার ভাষ‌্যে,‘সেদিনের ঘটনা মনে আছে। স্টিভ ওয়াহর শেষ টেস্ট। হইচই চারিদিকে। এদিকে টসের সময় হয়ে যাচ্ছিল। শচীন টেন্ডুলকার এসে দাদাকে বলছিল, টসের সময় হয়ে যাচ্ছে! কিন্তু দাদা তখনও ক‌্যাপ, সোয়েটার ঠিক করতে ব‌্যস্ত। ওদিকে স্টিভ ওয়াহ মাঠে দাঁড়িয়ে। ধীরে ধীরে দাদা মাঠে যান।’ গুঞ্জন আছে প্রতিপক্ষের অধিনায়ককে চাপে রাখতে এমনটা করতেন গাঙ্গুলী। তবে নিজে কখনো সেই চাপ গায়ে মাখাননি। পাঠানের দাবি,‘যখন কোনও কাজে কেউ দেরি করে ফেলে, তখন তার চোখেমুখে দেখলেই বোঝা যায় যে সে চাপে রয়েছে। দাদাকে দেখে কিন্তু সেরকম মনেই হত না।
×