ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইরান-চীন চুক্তি ॥ বিশাল রেল প্রকল্প থেকে বাদ পড়ল ভারত

প্রকাশিত: ১০:২২, ১৫ জুলাই ২০২০

ইরান-চীন চুক্তি ॥ বিশাল রেল প্রকল্প থেকে বাদ পড়ল ভারত

অনলাইন ডেস্ক ॥ চীনের সঙ্গে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির কয়েকদিনের মধ্যেই চার বছর আগে সই করা বিশাল এক রেল প্রকল্প থেকে ভারতকে বাদ দিল ইরান। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরুও করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। জানা গেছে, চাবাহার সমুদ্রবন্দর থেকে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী ইরানের জাহেদান শহর পর্যন্ত ৬২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণের জন্য ভারত, ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ২০১৬ সালে একটি ত্রিদেশীয় চুক্তি হয়েছিল। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে তেহরান উপস্থিত হয়ে ইরান ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেন। তবে চুক্তিতে সই করলেও এটি বাস্তবায়নে গড়িমসি করতে থাকে ভারত। তাদের পক্ষ থেকে কাজটি করার কথা ছিল ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (আইআরসিওএন)। প্রকল্পে ১৬০ কোটি ডলার খরচ করার কথাও ছিল তাদের। তবে, ইরানের সঙ্গে কাজ করলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে ভয়ে এটি বাস্তবায়নে আর আগ্রহ দেখায়নি ভারত। শেষ পর্যন্ত ইরান একাই এ বিশাল রেল প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। গত সপ্তাহে রেললাইন স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছেন ইরানের পরিবহন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী মোহম্মদ এসলামি। তিনি জানিয়েছেন, রেলপথটি আরও বড় করে নিয়ে যাওয়া হবে আফগান সীমান্তের আরও একটি শহর জারাঞ্জ পর্যন্ত। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মধ্যে। এতে প্রয়োজনীয় ৪০ কোটি ডলার দেবে ইরানের জাতীয় উন্নয়ন তহবিল। ইরানি প্রকল্প থেকে বাদ পড়লেও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত সরকার। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এ প্রকল্প থেকে ভারত বাদ পড়ার পেছনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশেরই ভূমিকা থাকতে পারে। সম্প্রতি তেহরানের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদী ৪০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে বেইজিং, যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়া ইরানের জন্য খুবই জরুরি হয়ে পড়েছিল। আবার, একই ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে নয়াদিল্লির ওপরও বছর দুয়েক ধরেই চাপ বাড়াচ্ছিল ওয়াশিংটন। এর জেরে ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার। এতে মনোক্ষুণ্ন হয়েও ভারতকে রেল প্রকল্প থেকে বাদ দিতে পারে ইরান। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
×