ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের এক বছর

জীবন বদলে গেছে মরগানের

প্রকাশিত: ০০:২০, ১৫ জুলাই ২০২০

জীবন বদলে গেছে মরগানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাইক গ্যাটিং থেকে গ্রাহাম গুচ, মাইকেল ভন থেকে এ্যালিস্টার কুকÑ ৪৫ বছরে কেউ পারেননি। ২০১৯ সালে এসে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় ইয়ন মরগানের হাত ধরে। যেখানে বৃটিশদের উচ্ছ্বাসে ভাসানোর নায়ক আরেক ভিনদেশী বেন স্টোকস। ১৪ জুলাই মঙ্গলবার ছিল ইংলিশদের সোনালি ট্রফি জয়ের এক বছর পূর্তি। গত বছর এইদিনে লর্ডসের অবিস্মরণীয় সেই ফাইনালে মূল ম্যাচ ও সুপার ওভারে টাই হলে বাউন্ডারির সংখ্যায় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। অপরাজিত ৮৪ ও সুপার ওভারে ৮ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন স্টোকস। তুখোড় অলরাউন্ডার সেদিন সুপার ওভারের আগে নাকি ড্রেসিং রুমের পেছনে গিয়ে সিগারেট টেনে নার্ভ স্থির করেছিলেন। আর আইরিশ বংশোদ্ভূত অধিনায়ক মরগান জানিয়েছেন বিশ্বকাপ জয় তার জীবন পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। ‘আমি মনে করি বিশ্বকাপের ফাইনালের পর থেকে খেলাটির গ্রহণযোগ্যতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। বাইরে বের হলেই লোকে আমাকে দেখলে ছুটে আসে, সেটা হোক রাস্তা, ক্যাফে কিংবা পাবে। শুধু দেশেই নয়, যখন ছুটিতে কোথাও যাই তখন অন্য কোন খেলার মাঝেও মানুষ কথা বলতে আসে।’ নিজের জীবন বদলে যাওয়ার ব্যাপারে ইংলিশদের ওয়ানডে অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘পুরো ব্যাপারটিই একপ্রকার ক্রীড়া উৎসবের। মানুষ সবসময়ই শিরোপা জিততে ভালবাসে। ক্রিকেটের গুরুত্বও অতি অবশ্যই বেড়ে গেছে। এভাবে আমার জীবনটাও বদলে গেছে। লোকে এখন আমাকে অনেক বেশি চেনে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মতে, জীবনে যে কোন কিছু পাওয়ার জন্য সেটা হোক বিশ্বকাপ কিংবা একটা ফরোয়ার্ড ডিফেন্স, আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনি যত পরিশ্রম করবেন তত মধুর ফল পাবেন। এটাই মানব বৈশিষ্ট্য, অন্তত আমি মনে করি। সেই দিনটির নাটকীয়তা পুরো খেলাটির জন্যই একটা বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে। দিনটা এখন ব্রিটিশ খেলাধুলার ইতিহাসের অন্যতম সেরা একটা দিন।’ আর স্টোকসের সিগারেট টানার ঘটনা জানা যায় ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে লেখা ‘মরগানস ম্যান : দ্য ইনসাইড স্টোরি অব ইংল্যান্ড রাইজ ফ্রম ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ হিউমিলেশন টু গ্লোরি’ নামক এক বইয়ে। লেখক উল্লেখ করেন, ‘সুপার ওভারের আগে অধিনায়ক মরগান যখন ড্রেসিংরুমে সবাইকে নিয়ে আলোচনা করছিল তখন স্টোকস বের হয়ে যায় ক্ষণিকের জন্য। অকল্পনীয় টেনশন ও চাপ নিয়ে ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ব্যাটিং করে ফিরেছিল সে। পুরো শরীর ঘাম এবং ধূলায় ঢাকা ছিল। সে ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমের পেছন দিকে, এ্যাটেন্ডেন্টের ছোট অফিসের পাশ দিয়ে, শাওয়ার রুমের কাছে চলে যায়। সেখানে সে একটি সিগারেট জ্বালিয়ে নিজের মতো করে কয়েক মিনিট সময় কাটায়।’
×