ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরিচয় না জেনে গৃহ পরিচারিকা রাখার করুণ পরিণতি

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ১৫ জুলাই ২০২০

পরিচয় না জেনে গৃহ পরিচারিকা রাখার করুণ পরিণতি

নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ নাম ঠিকানা নিশ্চিত না হয়ে চল্লিশোর্ধ নতুন এক গৃহপরিচারিকা রেখেছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক বিচিত্রা রানী দে। তার কাছে দুই শিশু সন্তানকে রেখে নিজ কর্মস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে দুপুরে বিচিত্রা রানী পুরানো ঢাকা বংশালের নাজিরাবাজারের বাসায় ঢুকতে দেখেন দরজা খোলা। একটি রুমে তার দুধের শিশু পড়ে আছে। অন্য রুমে ৬ বছর বয়সী ছেলে অর্ধচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। গামছা দিয়ে তার হাত-পা-মুখ বাঁধা। আলমারি এলোমেলো। আলমারি লকারের স্বর্ণালঙ্কার নেই। সেখানে রাখা ২০ ভরি স্বর্ণের গহনা নেই। প্রায় এক বছর আগের এই ঘটনায় ডাঃ বিচিত্রা রানী বংশাল থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপরই ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। দীর্ঘ ১০ মাস তদন্ত শেষে সেই গৃহপরিচারিকা আমেনা বেগমকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার কেনার অভিযোগে তাঁতীবাজারের ফোর স্টার জুয়েলার্স এর মালিক মোঃ আবুল হাসেমকে গ্রেফতার করে। লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোঃ সাইফুর রহমান আজাদ জানান, আমেনা একজন পেশাদার চোর। এর আগেও সে একই রকমভাবে বিভিন্ন বাসায় কাজের বুয়া সেজে চুরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবার গ্রেফতারকৃত গৃহপরিচারিকা আমেনা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দী দিয়েছে। তার অন্যান্য চুরি সম্পর্কে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
×