ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম পিডিবিতে করোনা নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ১৫ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রাম পিডিবিতে করোনা নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিয়ে পিডিবির প্রকৌশলীরা লুকোচুরি খেলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার জামালখানস্থ পিডিবি আবাসিক এলাকায় প্রায় ৬২ পরিবার আতঙ্কের মধ্যেই অবস্থান করছে। তিনটি ভবনে প্রকৌশলীসহ ১৫ থেকে ১৬ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছে বলে আবাসিক এলাকা বসবাসরতরা জানিয়েছেন। প্রত্যেক পরিবারের প্রকৌশলী কর্তারা দাফতরিক দায়িত্ব পালনে অব্যাহত থাকায় অন্য সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। তবে প্রধান প্রকৌশলী বলছেন, যাদের করোনা পজিটিভ রয়েছে তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এমনকি ওইসব পরিবারের জন্য দৈনন্দিন খাবারদাবার ও ব্যবহার্য সামগ্রীও পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার বিদ্যুত ভবনে কর্মরত গোলাম রসুল নামের এক গাড়ি চালকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আবাসিক এলাকার পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, করোনা আক্রান্তরা যে ভবনে রয়েছে ওইসব ভবনের কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে যেতে হচ্ছে। চট্টগ্রামের বিদ্যুত ব্যবস্থা সচল রাখতে এসব প্রকৌশলীরা করোনা আতঙ্ক নিয়েই কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে সংক্রমিত হচ্ছে দফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও। আবার ওই আবাসিক এলাকার যেসব পরিবারে একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ওই পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনা আক্রান্ত হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে এই ভাইরাস আক্রান্তের বিষয়টি গোপন রাখা হচ্ছে। ফলে বিশাল এ আবাসিক এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলো রয়েছে আতঙ্কে। জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিদ্যুত ভবনসহ বিভিন্ন বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা সপরিবারে বসবাস করেন জামালখানস্থ পিডিবির আবাসিক এলাকায়। ওই আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন দফতরের প্রায় ৬২টি পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে সপ্তষী, সুরমা ও কর্ণফুলী ভবনে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫/১৬ জন। সপ্তর্ষী ভবনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (এসই/পূর্ব) ইমাম হোসেন ও প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম মৃধা। এ বিষয়ে পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী জনকণ্ঠকে জানান, যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা সুস্থ হয়ে গেছেন। এসব কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে যাওয়া বিরত রেখে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। এমনকি গাড়িতে করে তাদের ও পরিবারের খাবার দাবার পাঠানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পুরো ভবনগুলোকে আইসোলেশন করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েজন ভাল হয়ে গেছেন। করোনা পজিটিভ আক্রান্ত হওয়ারা চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা শেষে করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর দাফতরিক কাজ পরিচালনা করছেন। সুমন্ত দেবনাথের বাসায়ও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
×