ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন শনাক্ত ১৬৭

চট্টগ্রামে করোনায় ডাক্তার ও ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রকাশিত: ২৩:২১, ১৫ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রামে করোনায় ডাক্তার ও ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক চিকিৎসকের। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ১১ জন চিকিৎসক এ রোগে মারা গেলেন। এদিন একজন ব্যাংক কর্মকর্তাও করোনায় মারা গেছেন। তবে আগের দিন সোমবার ছিল করোনায় মৃত্যুহীন একটি দিবস। এদিন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৬৭ জন। মোট ছয়টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয়। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোমবার মোট ৮৫৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৬৭, যা ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৪। এর মধ্যে ৮ হাজার ১৯০ জন মহানগর এলাকার এবং ৩ হাজার ৫৭৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তবে এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। চট্টগ্রামে মোট করোনাজয়ী উন্নীত হল ১ হাজার ৪১৪ জন। এদিন নতুন করে কোন মৃত্যু না ঘটায় মৃতের সংখ্যা ২১৬ জনেই স্থির রয়েছে। তবে পরদিন মঙ্গলবার মারা গেছেন এক চিকিৎসক। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি জানান, সোমবার আক্রান্ত শনাক্ত ১৬৭ জনের মধ্যে ৯৬ জন চট্টগ্রাম মহানগরের এবং ৭১ জন বিভিন্ন উপজেলার। এদিন নগরের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে রাউজান উপজেলায়। এ উপজেলায় ১৫ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। এছাড়া চন্দনাইশ উপজেলায় ১৩ জন, ফটিকছড়িতে ১২ জন, হাটহাজারীতে ৭ জন, বোয়ালখালী ও আনোয়ারায় ৫ জন করে, পটিয়ায় ৪ জন, রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, মীরসরাই ও সীতাকু-ে ২ জন করে এবং সাতকানিয়া ও বাঁশখালী উপজেলায় ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গত রবি ও সোমবার পর পর দুদিন ছিল করোনায় মৃত্যুশূন্য। এর আগে গত ৩ জুলাই ছিল মৃত্যুহীন আরেকটি দিন। আক্রান্তের হার এখন স্থিতিশীল বলে জানান সিভিল সার্জন। এদিকে, নমুনা কম জমা পড়ায় এখন চট্টগ্রামের সবগুলো ল্যাব ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ছে না। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস (সিভাসু) ল্যাবের কার্যক্রম একপ্রকার বন্ধ। সোমবারও এ ল্যাবে কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি। যে অল্পসংখ্যক নমুনা জমা পড়ছে তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো নয়। সেগুলো পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে অন্য ল্যাবে। করোনায় চিকিৎসকের মৃত্যু ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের গাইনি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাঃ সুলতানা লতিফা জামান আইরিন। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে চমেক হাসপাতাল আইসিইউতে মারা যান তিনি। এ নিয়ে করোনা সংক্রমিত হয়ে চট্টগ্রামে মোট ১১ চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, মা ও শিশু হাসপাতালের এ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার স্বামী ডাঃ মাইদুল আকবর চৌধুরী বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েসন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু ॥ চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক ব্যংক কর্মকর্তা। মোঃ রিদওয়ানুল হক (৩৭) নামের এ কর্মকর্তা সোশ্যাল ইসলামিক ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে তিনি মারা যান। ব্যাংক কর্মকর্তা রিদওয়ানুল হক করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় পনেরো দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রথমে তিনি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তাকে সিএসসিআর হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
×