ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অবস্থান নিয়ে নানা গুঞ্জন

সীমান্ত পাড়ি দেয়ার জন্য সাহেদ মৌলভীবাজারে!

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ১৫ জুলাই ২০২০

সীমান্ত পাড়ি দেয়ার জন্য সাহেদ মৌলভীবাজারে!

শংকর কুমার দে ॥ বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর বেআইনীভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমোদন, ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় মামলা দায়ের-গ্রেফতারের ঘটনায় দায় কার- এটাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো টাগ অব ওয়ার শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মধ্যে। গ্রেফতারদের মধ্যে সাতজনকে আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিদেশী কূটনীতিকদের কোভিড-১৯ চিকিৎসার তালিকায় ছিল বিতর্কিত এই রিজেন্ট হাসপাতাল। সাহেদ আত্মগোপনে থেকে তার স্ত্রীকে বলেছে যেখানে আছি সেফ আছি। তাহলে কি সে প্রভাবশালী মহলের কাছে থেকে সেফ আছে? এক সপ্তাহ হলো সাহেদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে না পাওয়ায় নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাহেদ কি মৌলভীবাজার দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে মেঘালয়ে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে? তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে সাহেদকে খুঁজছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। কিন্তু এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা আসেনি। সাহেদ কি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে আছে? তার আটকের খবর কি গোপন রাখা হচ্ছে? নাকি এখনও তাকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ধরতে পারেনি তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, নানারকম কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কোনকিছু বলা হয়নি। গত ৬ জুলাই সর্বশেষ সাহেদের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথাবার্তা হয় তখন সাহেদ তার স্ত্রীকে বলেছিল, যেখানে আছি সেফ আছি। এরপর সাহেদ সম্পর্কে আর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এতে তদন্তকারীদের ধারণা, সাহেদের স্ত্রী বেশ ভাল করেই জানে, সাহেদ কোথায় আছে। কিন্তু সাহেদের স্ত্রী যেভাবে কিছু কিছু গণমাধ্যমকে সাক্ষাতকার দিয়েছে সেটাকে আত্মরক্ষার কৌশল বলেই মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষকরা। সাহেদের স্ত্রীর অবস্থান জানা গেলেও এবং সাহেদ সম্পর্কে নানা মুখরোচক তথ্য জানা গেলেও এখন পর্যন্ত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সাহেদ সম্পর্কে কোন তথ্য জানায়নি। গত ৬ জুলাই প্রতারক সাহেদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। তখনই স্ত্রী সাহিদা আরবির সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলে সাহেদ। সাহেদ কি মেঘালয়ে যাওয়ার উদ্দেশে মৌলভীবাজারে ॥ রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোঃ সাহেদ এখন মৌলভীবাজারে অবস্থান করছে বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই জেলার যেকোন সীমান্ত দিয়ে সে ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন তারা। সোমবার, সাহেদের ফোন ট্র্যাক করে সকালে জেলার ভেতরে তার অবস্থান বুঝতে পারায় তার খোঁজে জেলাজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে র‌্যাব ও পুলিশ। তবে এখনও সাহেদের খোঁজ মেলেনি। জেলার সব সীমান্ত, রিসোর্ট, হোটেল মোটেলেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের গোপন খবরের ভিত্তিতে সন্দেহ, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারির হোতা মোঃ সাহেদ। এ খবর পাওয়া মাত্র ওই এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার বিকেল থেকে ভারতের ত্রিপুরাগামী মৌলভীবাজার-চাতলাপুর সড়কের শমশেরনগর চৌমুহনী চত্বর ও লাউয়াছড়া সড়কের ফুলবাড়ি এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ থেকে কমলগঞ্জ থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের করোনা কেলেঙ্কারি ঘটনার পলাতক প্রধান আসামি মোঃ সাহেদ এ পথে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্ত পথে ভারতের মেঘালয় বা ত্রিপুরায় যেতে পারে এমন সংবাদ রয়েছে। তাই সতর্কতাস্বরূপ যানবাহনে তল্লাশি করতে হবে। এ খবর পেয়ে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কমলগঞ্জ থানার শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আনজির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শমশেরনগর চৌমুহনায় দাঁড়িয়ে যানবাহনগুলো তল্লাশি করেন। সোমবার দুপুরে সাহেদের মুঠোফোন ট্র্যাক করে সে মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থান করছে, ঢাকা থেকে এমন তথ্য জানানো হয় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশকে। সেজন্য পুলিশ ও অন্য বাহিনী সতর্ক হয়ে ওঠে। এর পরপরই বিকেল থেকে শমশেরনগর ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো হয়। রিজেন্টের সাতজন কারাগারে ॥ করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেফতার সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার, আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক আলমগীর গাজী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলো- রিজেন্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মোঃ রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও হাসপাতালের কর্মী আবদুর রশিদ খান জুয়েল। বিদেশী কূটনীতিকদের চিকিৎসার তালিকায় ছিল রিজেন্ট হাসপাতাল ॥ ঢাকায় বিদেশী কূটনীতিক ও নাগরিকদের জন্য ঢাকার যে চারটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছিল, তার মধ্যে আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালে কূটনীতিকদের জন্য আইসিইউ সুবিধাসহ ১৫ বেডবিশিষ্ট একটি ফ্লোর সুনির্দিষ্ট করা হয়েছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, চারটি হাসপাতালের তালিকায় ছিল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এ্যান্ড হসপিটাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রস্তুত এভারকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) ও রিজেন্ট হাসপাতাল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হাসপাতালগুলোকে তালিকাভুক্ত করে। পরে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার বিদেশী মিশনগুলোকে অবহিত করা হয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশীদের করোনা চিকিৎসার জন্য গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এ্যান্ড হসপিটাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে প্রাধান্য দেয়া হয়। কূটনীতিক বা আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের সদস্যের করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে জরুরী পরীক্ষার প্রয়োজনে আইইডিসিআর’র নির্ধারিত একটি নম্বর নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। সিলেটী শাশুড়ির কোটি টাকা হাতিয়েছেন সাহেদ ॥ স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস জানান, নানান কেলেঙ্কারিতে সমালোচিত সাহেদ করিমের দ্বিতীয় শ্বশুর বাড়িকে ঘিরে মানুষের নানান কৌতূহল। এখানে তার আসা যাওয়ার ওপর নজরদারি রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করে আলোচনায় আসার পর জানা যায় সাহেদ করিম বিয়ে করেছেন সিলেটে। দক্ষিণ সুরমার পাঠানপাড়া এলাকায় সাহেদের শ্বশুরবাড়ি। সাহেদের স্ত্রীর নাম সাদিয়া আরাবি রিম্মি। সাহেদ তার শাশুড়ির সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জানা গেছে, সাহেদের স্ত্রী রিম্মির পূর্বের সংসারের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাকে ফেলে চলে এসে বিয়ে করেন সাহেদকে। তাদের মা সাহিদা আরাবি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি দুই কন্যা সন্তান-রিম্মি ও শাম্মীকে রেখে ঢাকার এক শিল্পপতিকে বিয়ে করে চলে যান। এ সময় রিম্মি ও শাম্মী পিতা ইয়াসিন আরাবির কাছেই ছিলেন। ইয়াসিন আরাবি সরকারের উর্ধতন এক কর্মকর্তা ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান। রিম্মির ভাই ফেরদৌস আরাবি নগরীর উপশহর এলাকায় বসবাস করেন। সাহেদের কেলেঙ্কারি প্রকাশ হওয়ার পর এই বাড়িটি ঘিরে মানুষের কৌতূহল তৈরি হয়েছে। প্রতারণার নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন সাহেদ করিম ওরফে মোঃ সাহেদ ওরফে শহীদ। তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বাদ যাননি সিলেটী শাশুড়িও। শাশুড়ির ব্যাংক হিসাব থেকেও প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাহেদ। নিজের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য গোপন করেই সিলেটের মেয়ে সাদিয়া আরাবি রিম্মির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাহেদ। একপর্যায়ে তাকে বিয়ে করেন তিনি। রিম্মির মা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। একসময় সাহেদের শাশুড়ি ঢাকার বনানীতে থাকতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সাহেদ রিম্মিকে বিয়ে করার পর শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ও তার কাজকর্মে সহযোগিতা করতেন। নিজের প্রভাব ও নিজের বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে সহজেই শাশুড়ির আস্থা অর্জন করেন। একপর্যায়ে শাশুড়ির ব্যাংক হিসাবে থাকা কোটি টাকার প্রতি নজর পড়ে তার। নিজের ব্যবসার প্রয়োজনের কথা বলে এক সপ্তাহের জন্য টাকা ধার নেন সাহেদ। তারপর আর এই টাকা ফেরত দেননি। এই নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে তার তিক্ততা তৈরি হয়। সীমান্তে টহল জোরদার সাহেদের খোঁজে সাতক্ষীরায় অভিযান ॥ স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, করোনার টেস্ট রিপোর্ট জালিয়াতিসহ একাধিক অপকর্মের হোতা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে ধরতে পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সীমান্তে যাওয়ার পথে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবির পক্ষে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, র‌্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যা¤প কমান্ডার সিনিয়র এএসপি বজলুর রহমান। সন্দেহজনক মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার তল্লাশি করা হচ্ছে। কোনভাবেই যাতে সাহেদ ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র । সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা শহরস্থ কামালনগরের একটি ফ্লাটে সোমবার রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। যেখানে সাহেদ করিম সাতক্ষীরায় অবস্থানকালে থাকত। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ঢাকা যুগ্ম জজ ১ম আদালতের (সিআর ১৪৮৮ নং) মামলার সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার তার ওয়ারেন্ট পেন্ডিং রয়েছে বলে তিনি জানান। ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে দুদক॥ রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে রিজেন্ট হাসপাতাল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিও তলব করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর এই দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে দুদক জানিয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদের দুর্নীতির অনুসন্ধানের তথ্য চেয়ে দুই সংস্থাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণ ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে সাহেদের বিরুদ্ধে। এছাড়া আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ নেয়ার অভিযোগও পেয়েছে দুদক। এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে যাচাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। রিজেন্ট হাসপাতাল সংক্রান্ত নথির জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সাহেদের ব্যাংকিং লেনেদেন সংক্রান্ত নথির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
×