ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ১৪ জুলাই ২০২০

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১০৩ মেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নাগেশ্বরীর বল্লভের খাস ইউনিয়নে দুই বছরের এক শিশু বন্যার পানিতে ডুকে মারা গেছে। ৫৬টি ইউনিয়নের ৫শতাধিক গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে জেলা-উপজেলা শহরের সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। বানভাসি মানুষের মাঝে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। উঁচু রাস্তা, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে নৌকার অভাবে অনেকেই নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেনা। যাদের ঘর-বাড়িতে বিছানাপত্র সবকিছুই তলিয়ে গেছে তারা ঘর-বাড়ি ছেড়ে পাকা সড়ক, উঁচু বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। আর যাদের কোন রকমে থাকার উপায় আছে তারা কষ্ট করে পরিবার পরিজন নিয়ে বন্যার পানির মধ্যে ঘর-বাড়িতেই অবস্থান করছে। পাকা সড়ক, উঁচু বাঁধ এবং খোলা আকাশের নীচে পলিথিনের তাবু টানিয়ে বসবাসকারী পরিবারগুলো অব্যাহত বৃষ্টিতে কষ্ট করে জীবন-যাপন করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, বাঁধটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে বিকল্প বাঁধটি রক্ষার জন্য বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু পানির প্রবল চাপে শেষ পর্যন্ত বাঁধটি ভেঙে যায়। জলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানিয়েছেন, পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৪৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। ৪০০ মে. টন চাল, ১১ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
×