ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ১৪ জুলাই ২০২০

সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ ॥ সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার ও ৪টি পৌরসভার কয়েক লাখ মানুষকে এখনো পানিবন্দী অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদিও নদীর পানি কিছুটা কমেছে, বৃষ্টিপাতও কমেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিবুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১ মিলিমিটার, ভারতের চেরাপঞ্জিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৬৬মিলিমিটার।আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সুনামঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের সাথে পাঁচ উপজেলা বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও ছাতকের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলাগুলোর অভ্যন্তরীণ গ্রামীণ সংযোগ সড়কও। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানায়, বন্যায় রোপা আমনের বীজ তলা ১৫১ হেক্টর, সবজি ৩৫ হেক্টর ও আউশ ৬৪১ হেক্টর বানের পানিতে তলিয়ে আছে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানিয়েছে, জেলার ৩৪৮৬টি পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এতে ২৯০৮জন খামারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনদুর্ভোগের পাশাপাশি গবাদি পশুদের নিয়ে আরো বেশি বিপাকে পড়েছেন মানুষ, সেই সাথে গো খাদ্যের সংকটে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। নলকূপ গুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের আশংকা রয়েছে। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম জানান, বন্যার সময় যাতে চুরি, ডাকাতি না হয়- সে জন্য ওসিদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ৩৪৫মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৬লাখ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণবিতরণে সতর্ক থাকতে ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, পুরো বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সয়ং প্রধানমন্ত্রী খোঁজ খবর রাখছেন। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ ও পুনবার্সনে সরকার যতেষ্ঠ আন্তরিক বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ।
×