স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সব কার্যক্রম সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে সম্পাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। একইসঙ্গে দিনের বেলায় উন্মুক্ত স্থান বা রাস্তায় বর্জ্য না ফেলতে ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করেছেন তিনি। সোমবার বিকেলে নগর ভবনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক বৈঠকে মেয়র এই আহ্বান জানান। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন ও ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামানসহ ডিএসসিসির উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেয়র বলেন, আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ঢেলে সাজাচ্ছি। এখন থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সব কার্যক্রম রাতের মধ্যেই করা হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, সকাল ৬টার পরে ঢাকাবাসীকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেয়া। মেয়র তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করে বলেন, আপনারা দিনের বেলায় রাস্তায় কিংবা উন্মুক্ত স্থানে কোন ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না। আমাদের বর্জ্য সংগ্রহকারীরা আপনাদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত কন্টেনার বা অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) নিয়ে যাবেন। তাই দিনের বেলায় আপনাদের কোন ধরনের বর্জ্য জমা হলে তা রাস্তায় বা উন্মুক্ত স্থানে ফেলবেন না। সেজন্য শীঘ্রই আমরা নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু করব। ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, নতুন কর্মপরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার আওতায় আমরা ডিএসসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৭৫ জন প্রাইমারি বর্জ্য সংগ্রহ সেবাদানকারী (পিসিএসপি) নিয়োগ করব। সুনির্দিষ্ট শর্তাবলী উল্লেখপূর্বক তাদের নিবন্ধিত করা হবে এবং শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। নতুন আঙ্গিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত দশটার মধ্যে পিসিএসপির সংগ্রহকারীরা বাসা-বাড়ি ও গৃহস্থালি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত কন্টেনার বা এসটিএস এ নিয়ে যাবেন। সেখান থেকে ভোর ৬টার মধ্যে মাতুয়াইলের ল্যান্ডফিল নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টার মধ্যে ঢাকা শহরের মূল সড়কগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করবে এবং প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে মূল সড়কগুলোতে পানি ছিটানো হবে।
