ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লোকসানের আশঙ্কা নাটোরের খামারিদের

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৩ জুলাই ২০২০

লোকসানের আশঙ্কা নাটোরের খামারিদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১২ জুলাই ॥ কোরবানি সামনে রেখে নাটোরের গরু খামারিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। করোনা প্রভাবে কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে আর্থিক লোকসানের আশঙ্কা করছেন জেলার প্রায় ৯ হাজার গরু খামারিরা। তবে সুষ্ঠু বাজার মনিটরিং এবং কোরবানির পশু অন্যত্র স্থানান্তর করতে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা করা গেলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। অন্যদিকে, খামারিদের লাভের বিষয়টি চিন্তা করে বাজার ব্যবস্থাপনা মনিটরিংয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। সূত্রে জানা গেছে, কোরবানি সামনে রেখে নাটোর জেলায় প্রায় ৩ লাখ ২ হাজার ১১৬টি গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার বিক্রয়মূল্য ৮শ’ কোটি টাকা। এছাড়া চলতি বছর জেলায় কোরবানির চাহিদা মোট ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৮টি গবাদিপশুর। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট থাকবে ১ লাখ ৩৫ হাজার পশু। যার বাজার মোট বাজার মূল্য প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা। প্রাণিসম্পদ বিভাগের মতে, সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা এবং পরিবহন ব্যবস্থা সুবিধাজনক হলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন খামারিরা। কিন্তু করোনা প্রভাবে আর্থিকভাবে লোকসানের আশঙ্কা খামারিদের। খামারি জানান, এখন পর্যন্ত দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ী জেলার স্থানীয় খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। করোনা প্রভাবে ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে সাহস করছেন না। এদিকে বাজারগুলোতে এখন জমেনি গরু বেচাকেনা। খামারিরা আরও জানান, করোনার কারণে গো-খাদ্যের দামও বেড়েছে দ্বিগুণ। তাই তারা বিদেশী চায়না ঘাস ও দেশীয় গো-খাদ্য খাইয়েই গরু মোটাতাজাকরণ করছেন। অনেক খামারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গরুর পেছনে বিনিয়োগ করেছেন। প্রত্যাশিত মূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে তারা আর্থিকভাবে লোকসানে পড়বেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, কোনবানির পশু বাজারজাতের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে খামারিদের সমস্যা সামাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
×