ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ভোগাই বাঁধে ভাঙন, ২৫ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১২ জুলাই ২০২০

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ভোগাই বাঁধে ভাঙন, ২৫ গ্রাম প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ গত কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঢলে নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর বাঁধে ভাঙনসহ নিম্নাঞ্চলে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক হাজার মানুষের। রবিবার বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের ভোগাই নদীর বাঁধ প্রায় ১শ মিটার এলাকাজুড়ে ভেঙ্গে প্রবল বেগে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করছে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। এতে ওইসব গ্রামের বেশকিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন বীজতলাসহ ফসলি জমি। ভেসে গেছে বেশকিছু পুকুরের মাছ। এছাড়াও ঢলের পানির সাথে বালি পড়ে বিনষ্ট হচ্ছে ভাঙন তীরবর্তী বেশকিছু আবাদী জমি। এছাড়া উপজেলার অপর খরস্রোতা নদী চেল্লাখালীতেও নেমেছে পাহাড়ি ঢল। টানা কয়েক দিনের বর্ষণ ও দুটি নদীর পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। ফলে ওইসব এলাকার মানুষও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ওইসব এলাকার মাছের খামার ও ফসলি জমি। দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। আজ রবিবার দুপুরে ভোগাই নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। ওইসময় তারা দ্রুত ভোগাই নদীর বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন। এদিকে একইভাবে গত কয়েক দিনের অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। সোমেশ্বরী, মহারশি ও কালঘোষা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। সোমেশ্বরী নদীর পানির তোড়ে ধানশাইল-কুচনীপাড়া সড়কের বাগেরভিটা ব্রিজ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। উপজেলার কান্দুলী, দাড়িয়ারপাড়, কুচনীপাড়া, সারিকালিনগর, দড়িকালিনগর, সুরিহারা, বালিয়াগাঁও, পাইকুড়া, ঘাগড়া, বেলতৈল, পুরুষ উত্তমখিলা, হাসলিগাঁও, হাসলিপাতিয়া, রাঙ্গামাটি, হাতিবান্দাসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার বেশকিছু পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ঢলের পানিতে ক্ষতি সাধিত হয়েছে কৃষকদের বীজতলা ও শাক-সবজির ক্ষেতেরও। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, পানিবন্দি এলাকাগুলোতে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে ২০ হেক্টর জমির বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। দ্রুত পানি কমে গেলে তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
×