ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডে করোনা সফলতার নেপথ্যে ...

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ১৩ জুলাই ২০২০

নিউজিল্যান্ডে করোনা সফলতার নেপথ্যে ...

বিশ্বের অন্য দেশ যখন করোনাভাইরাস নিয়ে ধুকছে ঠিক তখন এ ভাইরাস থেকে মুক্তির ঘোষণা দেয় নিউজিল্যান্ড। জুন মাসের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডে মাত্র দুই জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়। শুধু তাই নয়, তার আগের ২৪ দিন নিউজিল্যান্ডে একজনেরও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি। এই দুইজনের সংক্রমণ ধরা পড়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভঙ্গের জন্যই এ ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। তারপরও বিশ্বের অন্য দেশ নিউজিল্যান্ডের করোনা সফলতা নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। হয়েছে গবেষণা। বিশ্লষকরা বলছেন, কঠোর লকডাউন ও আইসোলেসন বিধি নিউজিল্যান্ডকে এ মারণ ভাইরাস থেকে রেহাই দিয়েছে। অপর বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের দুই তারিখে নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই দেশটির সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। চীন অথবা দেশটির আশপাশের দেশ থেকে আসা যাত্রীদের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন আরডার্ন। একই সঙ্গে চীন থেকে আসা নিউজিল্যান্ডের কোন নাগরিককে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রাখা হয়। অন্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনের ঘোষণা দিয়ে আরডার্ন বলেন, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ দিচ্ছি। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনা ঠেকাতে এছাড়া আর কোন উপায় নেই। নিউজিল্যান্ডের ম্যাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্টিন বেরকা বলেন, সত্যিই করোনা ঠেকাতে আরডার্ন এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নেন। নিউজিল্যান্ডের নাগরিক নন বা বাসিন্দা নন এ রকম প্রায় সবার জন্যই দেশটির সীমান্ত বন্ধ করে দেন আরডার্ন। এই নারী প্রধানমন্ত্রীর নেতেৃত্বর প্রশংসা করে মার্টিন বেরকা বলেন, যখন সারা বিশ্বে সংক্রমণ ছিল মাত্র কয়েক হাজার সে সময়ই এমন পদক্ষেপ নেয়ার ফলে জনগণের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আরডার্ন নজিরবিহীন পদক্ষেপ নেন। -নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড অবলম্বনে
×