ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ

ফেসবুকে বন্ধ হচ্ছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ১৩ জুলাই ২০২০

ফেসবুকে বন্ধ হচ্ছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন

অবশেষে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ হতে চলেছে। সংস্থাটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ শনিবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। খবর দ্য ভার্জ ও নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনের। মার্ক জাকারবার্গ বলেন, আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তারা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে পারেন। তবে গোটা বিষয়টিই আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনই কিছুই হয়নি। রাজনীতিকদের মিথ্যা ভাষণও যাচাই না-করে প্রচার করার অভিযোগ রয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। টুইটার এবং গুগলের মতো সংস্থাও তাদের প্লাটফর্ম রাজনীতিকদের ব্যবহারের জন্য সীমিত করে দিয়েছে। যার জেরে ফেসবুকের উপরে চাপ বাড়াচ্ছিল বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন। পুলিশী নির্যাতনে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য যখন বর্ণবৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল, তখন ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা ঘৃণার প্রচারেও বাধা দিচ্ছে না। কোকাকোলা, স্টারবাকসের মতো সংস্থা প্রতিবাদ স্বরূপ ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে। ফলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবতে শুরু করেন ফেসবুক প্রধান। এদিকে আগামী নবেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন নির্বাচন নিয়ে দেশটির ক্ষমতাসিন ও বিরোধী শিবির এখন চাঙ্গা। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হটাতে বিরোধী শিবিরের মনোনয়ন প্রার্থী জো বাইডেন ও বার্নি স্যান্ডার্স একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি এক দলীয় সম্মেলনে বাইডেন ও স্যান্ডার্স শিবির মিলে একগুচ্ছ প্রস্তাব প্রকাশ করে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আগামী মাসের জাতীয় সম্মেলনে তাদের ইশতেহার প্রকাশের প্রস্তুতি হিসেবেই এ উদ্যোগ। ১১০ পৃষ্ঠার এই নথিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, ক্রমাগতভাবে বর্ণবাদ কমিয়ে আনা, সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ এবং করোনাভাইরাস মহামারীতে বিধ্বস্ত মার্কিন অর্থনীতি সংস্কারের জন্য নেয়া বড় বড় পদক্ষেপের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, এ প্রস্তাবগুলোতে মূল উদারনৈতিক কয়েকটি অগ্রাধিকার যেমন একক দাতাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, পরিবেশ নীতি সম্পর্কিত তথাকথিত গ্রীন নিউ ডিল অথবা অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকরণ (আইসিই) বাতিলের মতো ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত হতে দেখা যায়নি, যেগুলো কিনা নবেম্বরে মধ্যপন্থী ভোটারদের ভোট ভাগাভাগি করতে পারত। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়া বাইডেন ‘তার দল ও দেশের জন্য’ একটি সাহসী, পরিবর্তন আনয়নকারী প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে সহায়তা করার জন্য এই টাস্কফোর্সসমূহের প্রশংসা করেন। প্রস্তাবগুলোতে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে কার্বন দূষণ নির্মূল করার বিষয়ের মতো কিছু সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেগুলো বাইডেনের প্রাথমিক জলবায়ু প্রস্তাবের চেয়ে বেশি উচ্চাভিলাষী। তারা ফৌজদারি বিচার সংস্কারও অন্তর্ভুক্ত করেছে যা মিনেয়াপোলিস পুলিশ কর্তৃক আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ গুরুত্ব¡ বহন করেছে। স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদিও শেষ ফলাফল আমি বা আমার সমর্থকরা এতে যা লিখেছি তেমনটি নাও হতে পারে, তবে টাস্কফোর্স একটি ভাল নীতিমালার নীলনক্সা তৈরি করেছে যা এই দেশকে অতি প্রয়োজনীয় প্রগতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে এবং শ্রমজীবী পরিবারের জীবনকে যথেষ্ট উন্নত করবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ‘প্রথম দিনই’ বাতিল করবেন বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী টুইটার বার্তায় বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদারে আমেরিকা অংশ নিলে মার্কিন নাগরিকরা নিরাপদ থাকবেন।
×