ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় দ্বিতীয় বন্যায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ১২ জুলাই ২০২০

গাইবান্ধায় দ্বিতীয় বন্যায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গত চারদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়া সবকটি নদীর পানি দ্রুত আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২৭ সে.মি. এবং তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘাঘট, কাটাখালি, বাঙালী ও করোতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি দ্বিতীয় দফায় আবার অবনতি হয়েছে। সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বসতবাড়ি আবারও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে এবং ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া বাড়িঘর ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। আকস্মিক বন্যার তীব্র স্রোতে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধসহ ফুলছড়ি ও সাঘাটা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রমের ফলে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত নিুাঞ্চল ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, খাটিয়ামারী, ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জালাল বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বন্যা আতংক বেড়েছে। চরের মানুষ সবসময় নৌ ডাকাতের আতংকে ভুগছে। তিনি পুলিশের নৌ টহল জোরদারের দাবি জানান।
×