ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লাল-সবুজের জার্সিতে আরেক প্রবাসী বাংলাদেশী ফুটবলার ?

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ১১ জুলাই ২০২০

লাল-সবুজের জার্সিতে আরেক প্রবাসী বাংলাদেশী ফুটবলার ?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় দলের শক্তি বাড়ানোর জন্য বিশ্বের অনেক দেশেই ভিনদেশী ফুটবলারদের দলভুক্ত করার নজির আছে। বাংলাদেশও একবার এ পথে হাঁটার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় তা আর হয়নি। তবে এক্ষেত্রে তারা বিকল্প একটি পন্থা অবলম্বনও করেছিল জাতীয় দলের সাবেক দুই ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ এবং রেনে কোস্টারের মাধ্যমে, সেই ২০১৩ সালে। সেটি হলো বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত দক্ষ ও কুশলী ফুটবলার দলে নেয়া। সেজন্য ইন্টারনেটে এ জাতীয় বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয় বাফুফের তরফ থেকে। এর প্রেক্ষাপটে চারজন ফুটবলার যোগাযোগ করেন। এদের মধ্যে কেবল টিকে যান ডেনমার্কের জামাল ভুঁইয়া। অনেকেই আক্ষেপ করেছিলেন জামালের মতো আরও কয়েক বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ফুটবলার পাওয়া গেলে জাতীয় দলের শক্তি আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেত। বাফুফে কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। এই যখন সর্বশেষ অবস্থা, তখনই খোঁজ পাওয়া গেল আরেক বাংলাদেশ বংশোদ্ভুত প্রবাসী ফুটবলারের। তিনি ফরিদ আলী। তিনি ইউক্রেনের ফুটবলার, তবে তাকে বাংলাদেশী বলা যেতে পারে। কেননা ফরিদের বাবা বাংলাদেশী। ৬৬ কেজি ওজনের, ৫ ফুট সাড়ে ৭ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী এবং ২৮ বছর বয়সী ফরিদ বর্তমানে খেলছেন পোল্যাল্ডের দ্বিতীয় বিভাগের দল জিকেএস জাসত্রেবাইয়ের হয়ে (জার্সি নম্বর ১০)। মাঠে ফরিদ খেলেন উইঙ্গার এবং এ্যাটাকিং মিডিফিল্ডার হিসেবে। ইউক্রেনের বিখ্যাত ক্লাব আর্সেনাল কিয়েভের একাডেমিতে বেড়ে উঠেছেন তিনি। তার স্বপ্ন-বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার। জানা গেঝে-ইতোমধ্যেই জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে ফরিদ আলীর সঙ্গে যোগযোগ করা শুরু করে দিয়েছেন। ফরিদের পুরো নাম ফরিদ আখমেতোভিচ আলী। জন্ম ইউক্রেনে, ১৯৯২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। যুব ক্যারিয়ার শুরু করেন আর্সেনাল কিয়েভের হয়ে (২০০৬-২০০৯)। এই ক্লাবেই সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন (২০০৯-২০১২)। এরপর ২০১৩-২০১৫ সাল। পর্যন্ত খেলেন মেতালুর যাপোরিযিয়ায়। ২০১৬ সালে যোগ দেন জিকেএসে। এই ক্লাবের হয়ে ১০৮ ম্যাচে করেন ১৭ গোল। এই ক্লাবের হয়ে লিগ জিতেছেন ২০১৭-১৮ মৌসুমে। এখন দেখার বিষয়, জেমি ডের ফরিদকে লাল-সবুজের জার্সিতে খেলানোর প্রচেষ্টা সফল হয় কি না।
×