ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডিজিটাল হাট থেকে প্রথম কোরবানির পশু কিনলেন পলক

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ১১ জুলাই ২০২০

ডিজিটাল হাট থেকে প্রথম কোরবানির পশু কিনলেন পলক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোরবানির ঈদের পর ডিজিটাল হাটে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে কোরবানি পশু বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পলক এ কথা বলেন। ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন শেষে ডিজিটাল হাট থেকে প্রথম কোরবানির পশু কেনেন তিনি। এ-টু-আই ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই-হাটের কার্যক্রম চলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্সের প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য আমাদের চারটি অনুসঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত ইন্টরনেট সংযোগ সবার কাছে সহজলভ্য করা, দ্বিতীয়ত পেমেন্ট সিস্টেম সহজ করা, লজিস্টিক সাপোর্ট নিশ্চিত করা ও চতুর্থত আস্থা অর্জন করা। গত পাঁচ বছর ধরে ই-কমার্স দেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১২০০ সদস্য সারা দেশে কাজ করছে। আমি মনে করি, যেভাবে ই-কমার্সের প্রসার হচ্ছে আগামী পাঁচ বছরে আরও বেশি প্রসারিত হবে। এ খাতে আরও নতুন পাঁচ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ডিজিটাল হাটের সুবিধা জানিয়ে পলক বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কোরবানি পশুর সাটিফিকেশনের ব্যবস্থা করছে। এতে ক্রেতারা আশ্বস্ত হবেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মতো দেশের খুলনা সিটি করপোরেশনও তারা তাদের মতো করে ডিজিটাল পশুর হাট করতে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এ যে পরিবর্তন যা আগামী চার/পাঁচ বছরেও করা মুশকিল হতো, কোভিড-১৯ এর কারণে এটা চার বছর আগেই সম্ভব হয়েছে। ডিএনসিসি এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। কোভিড-১৯ এর কারণে সবকিছু বন্ধ থাকলেও এর মাধ্যমে আমরা অর্থনীতিকে সচল রাখতে পারি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি ও ব্যবসা খাতে ই-কমার্স যেভাবে বেড়েছে তাতে লজিস্টিকস সার্পোট দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। সেখানকার উদ্যোক্তারা আছেন। তারা প্রায় পাঁচ হাজার ৬০০ ডিজিটাল সেন্টারের প্রায় ১১ হাজার উদ্যোক্তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এছাড়া আরও ১২ হাজার স্বেচ্ছেসেবী রয়েছে যারা করোনা ভাইরাসে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সবসময় ই-কমার্সের পাশে আছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশেনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। এছাড়া যুক্ত ছিলেন সিপিডির সিনিয়র গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। আইসিটি ডিভিশন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
×