ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পান্থপথ এলাকা থেকে নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ১১ জুলাই ২০২০

পান্থপথ এলাকা থেকে নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার পান্থপথ এলাকা থেকে এক নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে। লাশ পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে। মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে অজ্ঞাত ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। হত্যাকা-ের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজের পর্যালোচনা চলছে। শুধু তাই নয়, হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক বাড়ির এক দারোনকে আটক করেছে। আটককৃত ব্যক্তি হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই স্বীকার করেছে। পুলিশ যে ইচ্ছে করলেই অনেক কিছুই পারে, ঘটনাটি তাই প্রমাণ করে। মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে চমক দেখিয়েছে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে পথচারীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে রাস্তায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এক নারীর লাশ পড়ে থাকার খবর জানায় পুলিশকে। পুলিশ লাশের অবস্থান জেনে ঢাকার কলাবাগান থানা পুলিশকে জানায়। কলাবাগান থানা পুলিশ তাদের থানা এলাকায় অবস্থিত পান্থপথ মোড়ে বেসরকারী ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির পাশের গলির গ্রীন রোডের ১৫২/২ নম্বর বাড়ির সামনে থেকে লাশটি উদ্ধার করে। লাশ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে। কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র জানান, সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। সেখানেই তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত মোতাবেক ওই নারীর নাম মোমেনা বেগম (৩৫)। তার বাড়ি শেরপুর জেলায়। জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিতের পর স্বজনদের ডাকা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, ওই নারীকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করার বিষয়টি স্পষ্ট। কারণ ওই নারীর শরীরে বহু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর পরই আশপাশের ভবনে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ পর্যালোচনা মোতাবেক হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আনসার (৪৮) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আনসার হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার আজিমুল হক জানান, মেয়েটি ভাসমান। অর্থের বিনিময়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে দারোয়ান আনসার তাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে টাকার লেনদেন নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আনসার তাকে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়। আনসারের বাড়ি নরসিংদীতে। এ ঘটনায় আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে অন্য কারো সম্পৃক্ত থাকার তথ্য মেলেনি। আনসার একাই হত্যাকা-টি ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
×