ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ

বাংলাদেশের পাট ও পাট শিল্পে সোনালি দিনের হাতছানি

প্রকাশিত: ২০:০৪, ১১ জুলাই ২০২০

বাংলাদেশের পাট ও পাট শিল্পে সোনালি দিনের হাতছানি

পাট ও পাট শিল্প এদেশে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পাট ৮০ দশক পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য ছিল। পাটের বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিক পণ্যের আগমনে পাটের উৎপাদন রফতানি এবং মূল্যহ্রাস পায়। তাছাড়া ৬০ বছরের পুরাতন মিল, ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নিশ্চিত করতে না পারায় ক্রমেই সরকারী মিলগুলো লোকসান গুনছিল। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাটকল কর্পোরেশনকে সরকার ৭.৫০ বিলিয়ন টাকা দিয়েছে কিন্তু সরকারী মিলগুলো মুনাফা করতে সক্ষম হয়নি। অপরদিকে বিশ্বজলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বিশ্ববাসীর উদ্বিগ্নতা প্রাকৃতিক তন্তু (Natural Fiber) এবং পরিবেশবান্ধব পণ্যগুলোতে বিশ্ববাসীকে আগ্রহী করে তুলেছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। পাট বায়োডিগ্রেডেবল (Biodegradable) এবং টেকসই প্রাকৃতিক উপাদান (Fabrics) হওয়ায় এর ব্যবহার ও চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ফলে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে পাটের চাষ, উৎপাদন, এবং রফতানিও বেড়েছে বহুগুণ। পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা এবং বহুমুখী ব্যবহারের ফলে এদেশের বেসরকারী উদ্যোক্তারাও এগিয়ে এসেছে। বিশ্বের গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (ইগড, গবৎপবফবং ইত্যাদি নামী-দামী কোম্পানিও) গাড়ির অভ্যন্তরীণ উপাদান হিসেবে হাল্কা ও টেকসই বিবেচনায় পাটের আঁশ ব্যবহার করছে। গবেষণায় দেখা গেছে ২০২২ সাল নাগাদ শুধুমাত্র পাটের ব্যাগের বিশ্ববাজার ২.৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে শতকরা ৩৩ ভাগ পাট উৎপাদন করছে এবং উৎপাদিত কাঁচা পাটের শতকরা ৭০ ভাগ রফতানি করছে। বর্তমানে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এদেশের ৫ মিলিয়ন লোক সংযুক্ত রয়েছে। এখাতে বর্তমান প্রবৃদ্ধি (Growth) ১৩% এর অধিক। পাট পণ্যের বৈচিত্র্য, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, সরকারের সঠিক নীতি ও কাঠামো প্রস্তুতে প্রয়োজন ব্যাপক গবেষণার। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে এখাত থেকে বাংলাদেশের বছরে ৭ মিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বর্ণতন্তু বা সোনালি আঁশ আমাদের শুধু অতীত গৌরব নয়, হতে পারে আমাদের সোনালি ভবিষ্যত। ঐতিহাসিকভাবে বাংলায় উৎপাদিত পাট স্থানীয় হ্যান্ডলুম (তাঁত) ব্যবহার করে দড়ি ও কাপড় তৈরি করা হতো। নেপোলিয়ন যুদ্ধের সময় (১৮০৩-১৮১৫) ইউরোপে স্কটল্যান্ডের ডান্তির মিলগুলোতে রাশিয়ান ফ্লাস্ক (Flax) লিলেন সরবরাহ করা হতো। যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশরা রাশিয়ান লিলেনের বিকল্প হিসেবে পাট ব্যবহার করে। ক্রিমিয়াম যুদ্ধের পর (১৮৫৩-১৮৫৬) পাটের চাহিদা আরও বাড়ে। আমেরিকান গৃহযুদ্ধের সময় (১৮৬১-১৮৬৫) বিকল্প উৎস হিসেবে তুলনামূলক সস্তা ও সহজপ্রাপ্য পাটের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। ১৮৭৩ সালে H. C. কেরের নেতৃত্বে বাংলায় পাট চাষ ও পাট শিল্পের বিষয়ে ব্রিটিশ রাজ একটি কমিশন গঠন করে। এ প্রতিবেদনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১৮৮০ এর দশকে বাংলা অঞ্চলে বড় ধরনের পাট চাষ শুরু হয়েছিল। জর্জ অকল্যান্ড এবং বাঙালী অংশীদার শ্যামসুন্দর সেন হুগলী নদীর তীরে রিশবায় অঞ্চলে ১৮৫৫ সালে প্রথম পাটকল স্থাপন করেন। এরপর কলকাতার আশপাশে ১৯ শতকের দিকে গড়ে উঠে পাট শিল্প (পাটকল)। ১৮৮২ সালে যেখানে পাট কল ছিল মাত্র ১৮টি সেখানে ১৯ শতকের দিকে প্রথমদিকে মিলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১টি এবং ১০ হাজার শ্রমিক কাজ পায়। পাট পূর্ববঙ্গে উৎপাদিত হলেও কলকাতা ছিল পাট শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু এবং বেশিরভাগ শিল্পমালিক ছিল বিদেশী। ভারত বিভাগের পূর্বপর্যন্ত অবিভক্ত বাংলায় ১০৪টি মিল ছিল। যার বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ছিল। পাট শিল্প প্রথম দিকে ইউরোপীয়দের একচেটিয়া দখলে ছিল এবং পরবর্তীতে এতে যুক্ত হয় মারোয়াড়ি ব্যবসায়ীরা। প্রথম ও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় সৈন্যদের পণ্য পরিবহন ও সুরক্ষার কাজে (বালির বস্তায় ব্যবহার) পাটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পর ১৯৫১ সালে পূর্ববঙ্গে (East-Pakistan) বাওয়া জুট মিলস লিঃ, আদমজী জুট মিলস এবং ভিক্টোরি পাটপণ্য লিমিটেড নামক ৩টি মিল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ সালের পূর্ব পর্যন্ত পূর্বপাকিস্তানে ৭৭টি পাটকল ছিল এবং পাটকলগুলোতে ১ লাখ ৭০ হাজার শ্রমিক কাজ করত। পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাট রফতানি করে পাকিস্তান সে সময়ে ৭৭.৭৭ মিলিয়ন রুপী আয় করেছে এবং বিশ্বে পাট রফতানিকারক দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। আধিপাত্যবাদের কারণে বেশিরভাগ মিলের মালিক ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীরা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর পশ্চিম পাকিস্তানীদের মিলগুলো পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ সরকার মিলগুলোকে পরিচালনার জন্য পাটবোর্ড গঠন করে। ১৯৭২ সালে পাটকলসহ সকল শিল্পকে জাতীয়করণ করা হয়। এরপর জাতীয় পাটকলগুলো পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন গঠন করা হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন সরকার একটি কমিটির সুপারিশক্রমে ১৯৮০ সালে ৩টি এবং ১৯৮২ সালে ৩৫টি মিল ব্যক্তিগত মালিকদের কাছে ফেরত দেয়। ৮০’এর দশকে পাটের বিকল্প প্লাস্টিকের আগমন ঘটে। বিশ্বে পাটের চাহিদা কমতে থাকায় রফতানি কমে যায় এবং পুরনো প্রযুক্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাটকলগুলো অদক্ষতা, অস্বচ্ছতা ও বিভিন্ন কারণে ক্রমাগত লোকসান দিতে থাকে। ২০০২ সালে বিশ্বের বৃহত্তম পাটকল আদমজী বন্ধ করে দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও বাকি মিলগুলো সরকারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছর যাবত মিলগুলো নিয়ে আলোচনার পর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২২টি সরকারী পাটকল বন্ধের এবং ২৪ হাজার ৮৮৬ জন অর্থাৎ প্রায় ২৫ হাজার কর্মীকে তাদের পাওনা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পাটকল শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন। প্রধানমন্ত্রী পরম মমতায় তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সকল পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বলেছেন, ‘আমাদের চেয়ে শ্রমিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা অনেক বেশি। পাটকল বন্ধের ঘোষণা এবং শ্রমিকদের কথা শুনে মনে হলো তিনি কেঁদেছেন। শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের টাকা যাতে যথাযথভাবে শ্রমিক পায় তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন।’ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নতুন টেকনোলোজি এবং দক্ষ জনবল প্রস্তুত করে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এ মিলগুলোকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে এবং সেক্ষেত্রে পুরাতন দক্ষ শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবে। বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীর শতকরা ৩৩ ভাগ পাট উৎপাদন করে এবং এর শতকরা ৭০ ভাগ পাট রফতানি করে। পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে পৃথিবীতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে পাট ও পাট পণ্যের চাহিদা। বাংলাদেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট অন্যতম সস্তা এবং শক্তিশালী প্রাকৃতিক আঁশ হওয়ায় ভবিষ্যতের টেকসই ফাইবার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গাড়ির অভ্যন্তর প্রস্তুত করতে ফাইবার গ্লাস ব্যবহার করত কিন্তু ফাইবার গ্লাস পুনঃব্যবহারযোগ্য বা বায়োডিগ্রেডেবল (Biodegradable) নয় বিধায় সবুজ বিকল্পের সন্ধান শুরু হয় ’৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে। এ সময়ে পাট এক নতুন সম্ভাবনা হিসেবে আবিষ্কৃত হয়। বিশ্বব্যাপী বর্তমানে গাড়ি শিল্পে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টন প্রাকৃতিক তন্তু বা পাটের আঁশ প্রয়োজন যার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই ১০ থেকে ১২ হাজার টন সরবরাহ করে। বিশ্বব্যাপী গাড়ি, জাহাজ এবং নির্মাণ শিল্পে পাটের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। পাট এবং পাটজাত পণ্য নিয়ে এদেশে অল্প বিস্তর হলেও গবেষণা হয়েছে এবং চলছে। ২০১০ সালে একটি গবেষক দল অধ্যাপক মাকসুদ আলমের নেতৃত্বে পাটের জিনোমকে ডিকোর্ড করে অর্থাৎ পাটের জিন রহস্য আবিষ্কার করে। দেশে ইতোমধ্যেই পাটের নতুন নতুন জাত আবিষ্কার হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পাটের চাষাবাদের পরিমাণ এবং পাট উৎপাদন। সরকার ইতোমধ্যে আইন করে ১৮টি পণ্যের প্যাকিং ও পরিবহনের জন্য পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। বায়োডিগ্রেডেবল এবং টেকসই প্রাকৃতিক ফাইবারের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বেসরকারী খাতে পাটের প্রতি নতুনভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গোল্ডেন ফাইবারস ট্রেড সেন্টারসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ পাট ও পাটজাত পণ্য বিদেশে রফতানি করছে। পাটখাত বর্তমানে ২৪০ ধরনের পণ্য উৎপাদন করছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পাটকল কর্পোরেশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোবারক আহামদ খান পাট ব্যবহার করে একটি পলিমার তৈরি করেছেন যা সোনালি ব্যাগ নামে বায়োডিগ্রেড প্লাস্টিকের ব্যগ তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বেসরকারী খাতে বর্তমানে ৮০টির অধিক পাটকল রয়েছে যার প্রায় প্রত্যেকটি লাভজনক বা উৎপাদিত পণ্যের অগ্রীম চাহিদাপ্রাপ্ত। তারা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না। গার্মেন্টস শিল্প বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেও এ খাত ক্রমাগত প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই এদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে অপার সম্ভাবনার পাট ও পাটজাত শিল্পের দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। বিশ্বের পরিবেশ রক্ষায় পাটের হালকা টেকসই বায়োডিগ্রেডেবল প্রকৃতি হতে পারে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনা। পৃথিবীতে বাণিজ্যিকভাবে সংগ্রহ করা কাঠের শতকরা ৪০ ভাগ কাঠ কাগজ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। যার জন্য বছরে ৩০ মিলিয়ন একর বন ধ্বংস হচ্ছে। পাট থেকে বাংলাদেশ উন্নতমানের কাগজ উৎপাদন করতে পারে। পাট পেপার আইন এখন সময়ের দাবি। সরকারী খাতের পাটকলগুলোর ক্রমাগত লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একে প্রতিযোগিতায় ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার অনেক কষ্ট নিয়ে বাধ্য হয়ে কলগুলো বন্ধ করে শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দিয়েছে। তাই সামগ্রিক প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত শিল্পের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে- ক) পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। খ) পাটের আরও উন্নতজাত আবিষ্কার এবং উৎপাদিত পাটের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। গ) পাট শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে উৎপাদন ব্যয় ও মান নিশ্চিত করতে হবে। ঘ) পাটখাতে দক্ষ শ্রমিক সৃষ্টির লক্ষ্যে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট (Textile Institute) ও কলেজের আধুনিকায়ন করতে হবে। ঙ) পাট শিল্পের বৈচিত্র্য আনায়নে ব্যাপক গবেষণা চালাতে হবে। চ) বন্ধ হওয়া পাটকলগুলোর স্থানে অবিলম্বে সরকারী উদ্যোগে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাটকল স্থাপন করতে হবে। ছ) বিশ্বে পাটের চাহিদা মূল্যায়ন, নতুন চাহিদা সৃষ্টি এবং পাটের বহুমুখী ব্যবহারের জন্য একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। জ) বিজেএমসিসহ সকল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞদের পলিসি পদে পদায়ন করতে হবে। ঝ) পাটের উৎপাদন এবং পাট শিল্পকে অগ্রাধিকার শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে গার্মেন্টস সেক্টরের মতো বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে। সারা বিশ্ব আজ পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট। তাই আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৃষি এবং শিল্পের তথা বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকাকে ঘুরাতে সচেষ্ট হলে পাট ও পাট শিল্প আবার এদেশের সোনালি দিনের সুবাস বইয়ে দিবে। সরকারী খাতের সঙ্গে বেসরকারী খাত এ সম্ভাবনাকে বহুগুণ এগিয়ে নেবে এবং ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ উৎপাদিত বহুমুখী পাটজাত পণ্য রফতানি করে বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে। বিশ্বের গাড়ি উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ শিল্প, ব্যাগ, জুতা, কাপড়সহ বহুমুখী প্রতিষ্ঠানে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এগিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনা ও নির্দেশনায়, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। লেখক : সাবেক তথ্য সচিব
×