ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরে বন্যায় তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ১০ জুলাই ২০২০

জামালপুরে বন্যায় তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম বন্যায় জামালপুর জেলার সাতটি উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের প্রায় চার লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছিলো। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সবজি, আউশ ধান, পাট, বাদাম, ভুট্টা, মরিচ, আমন ধানের বীজতলা। আগাম বন্যায় তলিয়ে যায় নিম্নাঞ্চলের মানুষের ১৩ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা খুবই সঙ্কটে পড়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অনেক কষ্টে কৃষকরা তাদের জমিতে মৌসুমী সবজি বেগুন, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, শসা, বাঙ্গি, পটল, ও ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করেছিলেন। এছাড়াও আমন ধানের বীজতলা, আউস ধান, পাট, বাদাম, ভুট্টা, তিল মরিচ ও কলা বাগান করেছেলিনে কৃষকরা। কিন্তু গত এক সপ্তাহের টানা বন্যার কারণে তলিয়ে গেছে তাদের সব ধরনের ফসল। এদিকে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কৃষকের খেত থেকে পানিও নেমে যাচ্ছে। আর সাথে ভেসে উঠছে কৃষকের নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের চিত্র। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করলেও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সবজি খেত এখনও পানির নিচে তলিয়ে আছে। এতে নষ্ট হয়ে গেছে সদর উপজেলাসহ জেলার ছয়টি উপজেলার ১৩ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমির ফসল। জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, বন্যার পানিতে জেলার সাতটি উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এসব ফসলের মধ্যে আমন ধানের বীজতলা ৩৬৯ হেক্টর, আউস ধান দুই হাজার ৫৭৬ হেক্টর, পাট আট হাজার ৭১৫ হেক্টর, সবজি এক হাজার ৫৩০ হেক্টর, তিল ২১ হেক্টর, বাদাম পাঁচ হেক্টর, ভুট্টা ১৭ হেক্টর, মরিচ ৮৬ হেক্টর এবং কলাবাগান রয়েছে ২৪ হেক্টর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, বন্যার পানিতে জেলার সাতটি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
×